মোদক পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ! ‘মিঠাই’-এর গল্পে বড় মোড়!
‘মনোহরা’র দুর্দিন যেন কাটতে চায় না। একের পর এক বিপদ!
মোদক পরিবারের ক্ষতি করতে চেয়েছিল ওমি আগরওয়াল। প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল মিঠাই-সহ সকলকে। কিন্তু অবশেষে তাকেই মৃত্যু পথযাত্রী হতে হয়। ভাইয়ের অকাল মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আসে আদিত্য আগরওয়াল। নিজের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলার প্রমীলা সাহার সাহায্য চায় সে।
আদিত্যর সাহায্য করতে রাজি হয় প্রমীলা। পরিকল্পনা অনুযায়ী মোদক বাড়িতে পৌঁছে যায় সে। সিদ্ধেশ্বরকে তার বাড়ি প্রোমোটারকে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। পরিবর্তে বিপুল পরিমান অর্থ আর বিলাসবহুল ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ারও লোভ দেখায়।
সিদ্ধেশ্বর যদিও জানিয়ে দেয়, বাড়ি সে বিক্রি করবে না। বুঝিয়ে দেয়, অর্থ বা ফ্ল্যাটের লোভ দেখিয়ে প্রমীলার কার্যসিদ্ধি হবে না।
(আরও পড়ুন: ফের বিপদের মুখে মিঠাই! মোদক পরিবারকে জব্দ করতে এ কী করল প্রমীলা!)
সোজা কথায় লাভ হয়নি। অগত্যা মিঠাইদের মিষ্টির দোকানে গুন্ডা পাঠিয়ে তাদের ‘জব্দ’ করার চেষ্টা করে প্রমীলা। কিন্তু মিঠাই সেই গুন্ডাদেরও ঠান্ডা করে দেয়।
(আরও পড়ুন: ‘মনোহরা’য় নতুন ঝড় আনছে প্রমীলা! খুশির মরশুমে মিঠাইয়ের জীবনে এ কোন)
প্রমীলা তবু দমে যাওয়ার পাত্রী নয়। মোদক পরিবারের সদস্যদের অগোচরে ‘মনোহরা’য় প্রচুর পরিমান সোনার বার লুকিয়ে রাখে সে। এর পরেই পুলিশের হানা। অভিযোগ, মিষ্টির ব্যবসার আড়ালে অসাধু কোনও কাজ করছে সিদ্ধেশ্বর। দুর্নীতি করছে সে।
‘মনোহরা’র আশেপাশে ‘সন্দেহজনক’ কিছু লোককে দেখা গিয়েছে। সে কথাও মিঠাইদের জানায় পুলিশ। মিঠাইদের মাথায় আবার আকাশ ভেঙে পড়ে। একদিকে দুর্নীতির অভিযোগ, অন্য দিকে প্রাণের ভয়।
এ হেন পরিস্থিতিতে বাড়ি বিক্রি করে ঝামেলা চুকিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয় শ্রীলতা, তোর্সারা। কিন্তু মিঠাই হার মানতে রাজি নয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার সিদ্ধান্ত তাঁর।
কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে মোদক পরিবার? ‘মনোহরা’কে বাঁচাতে পারবে সিদ্ধার্থ-মিঠাই? এখন সেটাই দেখার।
For all the latest entertainment News Click Here