‘মোটা মোষ একটা’! জনসমক্ষেই শরীর নিয়ে কটাক্ষ ‘গীতা মা’কে,শো থেকে বাদ পড়েন
হিন্দি টেলিভিশন দুনিয়ার অন্যতম পরিচিত নাম গীতা কাপুর। জি টিভির ডান্স রিয়ালিটি শো ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’-এর সুবাদে আমার-আপনার ঘরের সদস্য হয়ে ওঠেছেন গীতা, রেমো, টেরেন্সরা। কিন্তু যাত্রাপথটা মোটেই সহজ ছিল না গীতার। এই শো ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রতিদিন চিঠি পেতেন গীতা। সেখানে নানাভাবে তাঁকে বডি শেমিং করা হত। আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্য আসতো চাপ। সেখানে অনেকেই স্পষ্ট লিখতেন, ‘মোটা হাতি’ , কিংবা ‘মোটা মোষ’ বলে সম্বোধন করা হত। তীব্র মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। ়
২০০৮ সালে প্রথম শুরু হয়েছিল এই রিয়ালিটি টিভির সফর। সেই প্রথম অনস্ক্রিনে পা রাখেন গীতা। এই শো-তে গ্র্যান্ড মাস্টারের ভূমিকায় ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
মণীশ পলকে তাঁর পডকাস্টে গীতা বলেন প্রতিদিন কতখানি অপদস্থ হতে হয়েছে তাঁকে। তবুও দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে গেছেন গীতা। কোরিওগ্রাফার বলেন,’ আমার চেহারার জন্য মানুষ খারাপ কথা (ই) মেল করতেন। তাঁরা বলতেন টেরেন্স এত সুন্দর দেখতে। রেমো এত বিখ্যাত। তাঁদের পাশে আমি কী করছি? অনেকে বলত, আমি মোটা, মোষের মতো। এই সব শুনে খুব খারাপ লাগত। মনে হত আমি কী করছি দুই পুরুষের মাঝে বসে। হার মানতে বসেছিলাম।’
গীতা আরও যোগ কেরন, কেউ তাঁর কঠোর পরিশ্রমটা লক্ষ করেনি। তিনি এই জায়গাটার যোগ্য কিনা সেটা আগেভাগে বিচার করতে ব্যস্ত সকলে। গীতা কাপুর বলিউডে নিজের কেরিয়ার শুরু করে ফারহা খানের সহকারী হিসাবে। আইকনিক ‘ছাঁইয়া ছাঁইয়া’ গান হোক বা ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়, দিল তো পাগল হ্যায়, মহবম্ততে, কভি খুশি কভি গমের মতো প্রোজেক্টে ফারহার সঙ্গে কাজ করেছেন গীতা। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর তুঝে ইয়াদ না মেরি আই এবং ‘মেয় হু না’-র ‘গোরি গোরি’ গানের ভিডিয়োতেও দেখা মিলেছে গীতার। পরবর্তীতে কোরিওগ্রাফার হিসাবে সোলো কেরিয়ার শুরু করবেন।
এখন হিন্দি রিয়ালিটি শো-এর সবার প্রিয় ‘গীতা মা’ তিনি। বয়স পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই কিন্তু এখনও সিঙ্গল তিনি। আপতত ‘ইন্ডিয়াজ বেস্ট ডান্সার’ শো-এর বিচারকের আসনে দেখা যাচ্ছে দেখা।
For all the latest entertainment News Click Here