মেসির পাশে দাঁড়িয়েই এমবাপের পুতুল হাতে ধরে শোভাযাত্রায় ঘুরলেন মার্টিনেজ

নিজেকে সমানে বিতর্কে জড়িয়ে চলেছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কাতার বিশ্বকাপের সেরা কিপারের হয়েছেন। তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে সকলে উচ্ছ্বসিত। অথচ নিজের কিছু কাণ্ডকারবারের জন্য সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠেছেন তিনি।

বিশ্বকাপের ফাইনালের পরে সোনার গ্লাভস গোপনাঙ্গে ঠেকিয়ে অঙ্গভঙ্গি করার জন্য তাঁকে তীব্র ভাবে সমালোচিত হতে হয়েছিল। এ বার ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপেকে সমানে কটাক্ষ করে ফুটবলপ্রেমীদের কুনজরে পড়ছেন এমি মার্টিনেজ। ফাইনালের আগে থেকে তিনি এমবাপেকে নিয়ে উপহাস করা শুরু করেছিলেন। দেশে ফিরে যাওয়ার পরেও তা থামেনি। এখনও তিনি এমবাপেকে কটাক্ষ করে চলেছেন।

কাতার থেকে বিশ্বকাপ নিয়ে দেশের ফেরার পর বুয়েনস এয়ারসে মেসিদের ঘিরে উন্মাদনার ঢল নামে। মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দর থেকে আর্জেন্তিনার রাজধানীর বিখ্যাত মিনার ‘ওবেলিস্ক’-এর উদ্দেশে হুডখোলা বাসে বিজয়যাত্রা করেন লিওনেল মেসিরা। কাতারে কাতারে মানুষ বিশ্বজয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন। সেই শোভাযাত্রাতেই নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন মার্টিনেজ।

আরও পড়ুন: মেসি নাকি ২০২৬ বিশ্বকাপেও খেলবেন- প্রাক্তন আর্জেন্তাইন তারকার দাবিতে চাঞ্চল্য

খালি গায়ে, বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার মতো করে একটি পুতুল ধরেছিলেন আর্জেন্তিনার তারকা কিপার। মার্টিনেজের হাতে ধরা সেই পুতুলের মাথায় ছিল এমবাপের মুখ। এমির চোখে ছিল কালো সানগ্লাস। মাথায় টুপি। এবং গলায় বিশ্বকাপ জয়ের পদক। তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে ডান হাত নাড়ছিলেন। আর বাঁ-হাতে বুকের কাছে ধরে রেখেছিলেন এমবাপের মুখ বসানো শিশু পুতুলটি। যাতে সকলে সেটি দেখতে পান।

আর এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় হুহু করে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আর্জেন্তাইন গোলকিপারের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মেসিও। এই ছবি নিয়েই নুতন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

এর আগে বিশ্বকাপ জয়ের রাতে আর্জেন্তিনার ড্রেসিং রুমে সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছিলেন লা-আলবিসেলেস্তেরা। সেখানেই সতীর্থদের কাঁধে হাত দিয়ে নাচের সময়ে এমিলিয়ানোকে বলতে শোনা যায়, ‘এক মিনিট নীরবতা এমবাপের জন্য, যিনি আর ‘আমাদের’ মধ্যে নেই।’ এমিলিয়ানোর এই নাচের ভিডিয়ো আগেই ভাইরাল হয়েছিল। অনেকেই এমির এই ধরণের আচরণের তীব্র নিন্দা করেছিলেন।

আসলে এই ঘটনার সূত্রপাত করেছেন এমবাপে নিজেই। আর্জেন্তিনার উদ্দেশ্যে রীতিমতো অপমনাজনক কথা বলেছিলেন এমবাপে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা ইউরোপীয়রা সব সময়ে কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলে অভ্যস্ত। এখানকার ফুটবল অনেক উন্নত। তাই বিশ্বকাপে আসার সময় আমরা তৈরিই থাকি। ব্রাজিল, আর্জেন্তিনা সে ভাবে প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকে না, তাই ওরা আমাদের থেকে পিছিয়েই থাকে।’ আর এমবাপের এই মন্তব্যই তাতিয়ে দিয়েছিল পুরো আর্জেন্তিনাকে।

আরও পড়ুন: WC জিততে তিন দশক লেগে গেল, এটা দিয়েগোর জন্য- মেসির খোলা চিঠিতে আবেগের বিস্ফোরণ

বর্তমান হোন বা প্রাক্তন- প্রত্যেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এমবাপে বিরোধী বিশেষ গানও তৈরি হয়। ফাইনালের আগে মার্টিনেজও পাল্টা আক্রমণ করেন এমবাপেকে। বলেন, ‘এমবাপে ফুটবলই বোঝেন না। ও জীবনে দক্ষিণ আমেরিকায় খেলেওনি। ওর যখন খেলার কোনও অভিজ্ঞতাই নেই, তখন ওর মুখটা বন্ধ রাখাই ভালো। কিন্তু ওর কথায় আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা দারুণ দল। এ ভাবেই আমরা পরিচিতি পেয়েছি।’

ফাইনালে সেই এমবাপের ফ্রান্সকে হারিয়েই বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্তিনা। ম্যাচের পর মার্টিনেজ এমবাপেকে সাময়িক সান্ত্বনা দিলেও, ড্রেসিংরুমে ফেরার পর থেকে তাঁকে নানা ভাবে আক্রমণ এবং কটাক্ষ করে চলেছেন।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.