‘মেয়ের বিয়েতে আমন্ত্রণ করব না’, মন্তব্যের সাফাই,মিঠুনকে নিয়ে সুর বদল চিরঞ্জিতের
গত মাসে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘আমন্ত্রণ জানানো হয়নি’ এমন অভিযোগ সামনে আসে। যদিও উৎসব কমিটি তা অস্বীকার করেছিল। তারপর থেকেই বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সেই সময় পুরোনো সহকর্মী মিঠুনকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কিফে মিঠুনকে আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আপনি যদি আমাকে গালাগালি করেন, তবে আমি আমার মেয়ের বিয়েতে আপনাকে নিমন্ত্রণ করব না। এখানেও বিষয়টা একই রকম।’
এর মাঝেই গত ক্রিসমাসে মুক্তি পেয়েছে দেব-মিঠুন অভিনীত ‘প্রজাপতি’। সেই ছবির জায়গা হয়নি নন্দনে, যা নিয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে বিতর্কের শেষ নেই। অথচ বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ‘প্রজাপতি’। ২১ দিনে ৭.০১ কোটি টাকার ব্যবসা হেঁকেছে এই ছবি। এবার মিঠুনকে নিয়ে সুর নরম করলেন চিরঞ্জিত। সম্প্রতি বর্ধমানের নীলপুর যুব উৎসবের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সেখানেই মিঠুনের সঙ্গে তাঁর ‘ইয়ারানা’ নিয়ে নানান বক্তব্য রাখেন।
এক সাক্ষাৎকারে চিরঞ্জিত নিজের মন্তব্যের সাফাই পেশ করে বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন, আমি নাকি মিঠুনের বিরুদ্ধে কথা বলছি। লোকে বলছে বলুক। মিঠুন আমার বন্ধু। আসলে রাজনীতির ব্যাপারটা আলাদা। ও আমার ভালো বন্ধু। প্রজাপতি ছবিও ভীষণ ভালো হয়েছে। মিঠুন ভালো অভিনয় করেছে।’ তাঁর সংযোজন রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হতে পারে, কিন্তু বন্ধুত্ব বা অভিনয়ে কোনও মতভেদ থাকতে পারে না।
‘প্রজাপতি’ মুক্তির পরপরই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তিনবারের জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতার সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন। কুণালবাবু কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, ‘মিঠুনের খারাপ অভিনয়ের জন্য ফ্লপ হয়েছে প্রজাপতি’। কুণাল ঘোষের সেই মন্তব্যের পালটা জবাব দিয়েছিলেন মিঠুনের অনস্ক্রিন পুত্র দেব। তাঁর সোজা কথা ছিল, ‘সিনেমাটা আমার বিষয়, রাজনীতিটা নয়। তাই সিনেমা নিয়ে আমার দলের কারোর মন্তব্য করা উচিত নয়। ওটা আমার উপরেই ছেড়ে দিন। পরবর্তীতে অন্য চরিত্রের জন্যও দরকার হলে মিঠুনদাকে প্রস্তাব দেব।’
মুক্তির পর বক্স অফিসে শুধু ম্যাজিক দেখিয়েছে প্রজাপতি তা নয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশনের তরফেও সেরা অভিনেতা (পপ্যুলার)-র সম্মান পেয়েছেন মিঠুন। সেই প্রসঙ্গে অপর এক সাক্ষাৎকারে চিরঞ্জিত বলেছেন, ‘সম্মান পাওয়াটা যে কোনও শিল্পীর পক্ষের গর্বের বিষয়। বিতর্ক আলাদা ব্যাপার।’ নন্দনে ‘প্রজাপতি’র জায়গা না হওয়ার কারণ হিসাবে আবেদনে গাফিলতির কথা উল্লেখ করেন বারাসাতের তৃণমূল বিধায়ক। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘ছেলেবেলা থেকে মিঠুন আমার বন্ধু। ওর বাড়িতে রাত কাটিয়েছি। সম্প্রতিও ওর ওখানে ছিলাম, উটি নিয়ে গিয়েছিল আমায়। হি ইজ জাস্ট ফ্যান্টাস্টিক!’
For all the latest entertainment News Click Here