‘মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু’,দুর্নিবারের প্রাক্তনকে ‘খোঁচা’ দিয়ে নেটপাড়ার রোষে মানসী
দুর্নিবার সাহার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে চর্চা সবমহলে। মোহর আর দুর্নিবারের প্রেম থেকে বিয়ে— প্রতিটা ধাপেই তুমুল বিদ্রুপের শিকার তাঁরা। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুর্নিবারের বিচ্ছেদ নিয়ে কম চর্চা হয়নি। আসলে সামাজিক বিয়ের ছয় মাস পরেই হঠাৎ করে সম্পর্ক ভেঙে যাবে তাঁদের এই বিষয়টা অনেকেই হজম হচ্ছে না, তার উপর দু-বছরের মধ্যেই দ্বিতীয়বার দুর্নিবারকে বর সাজে দেখে হতবাক অনেকেই। এত জলদি কী করে কেউ অতীত ভুলতে পারে? প্রশ্ন তাঁদের।
দুর্নিবার-মোহর এত কটাক্ষ মুখ বুজেই কার্যত সহ্য করছেন। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার কথা জানালেও বিদ্রুপ নিয়ে সেভাবে কথা বলেননি। দুর্নিবারের জবাব, ‘শকুনের অভিশাপে গরু মরে না’। অন্যদিকে দুর্নিবার-মোহরকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে নেটপাড়ার রোষের মুখে মানসী সিনহা। আসলে অনেকেই মানসীর শুভেচ্ছা পোস্টে মীনাক্ষীকে কটাক্ষের গন্ধ পেয়েছেন। তাতেই টেলিপাড়ার সিনিয়র অভিনেত্রীর উপর খচে লাল নেটিজেনরা। অনেকেই তাঁকে ‘অসংবেদনশীল’ বলেছেন। কেউ তো সরাসরি লিখেছেন, ‘মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু’। যদিও মানসীর পালটা জবাব, ‘মেয়েরা নয়, মানুষই মানুষের শক্রু’।
মানসী সিনহার শুভেচ্ছা পোস্টের কমেন্ট বক্স যেন যুদ্ধক্ষেত্র! সেখানে এসে একের পর এক তোপ দাগছেন নেটিজেনরা। পালটা উত্তরও দিচ্ছেন অভিনেত্রী। ঠিক কী লিখেছিলেন মানসী?
লেখক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পেয়ালা পিরিচ’-এর উপমা টেনে মানসী লেখেন, ‘মোহর, দুর্নিবার—ঠিক ঠিক জুড়ির পিরিচ না হলে পেয়ালা মানায় না। ভুল পিরিচে চা দেওয়া খারাপ আর খাওয়া তো আরও খারাপ। তাই সময় থাকতে জুড়িটা মিলিয়ে নিতে হয় সবাইকেই। তোরা পেরেছিস। বাকি জীবন এই জুড়ি অটুট থাক, এই আশীর্বাদ করি। আর এই লেখা কেন লিখলাম? কারণ, দরকার ছিল। ভাল থাক।’ কনেপক্ষের তরফে বিয়েতে আমন্ত্রিত ছিলেন মানসী। মোহরকে জন্মাতে দেখেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু কাছেরম মানুষকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে, মীনাক্ষীকে ‘খোঁটা’ দিয়েছেন ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর ছোট ঠাম্মি। দাবি নেটিজেনদের একটা বড় অংশের। অনেকেই বলছেন, মীনাক্ষীকে খারাপ বলার বা ছোট করার অধিকার মানসীর নেই।
যদিও মানসীর সাফাই, ‘আমি কিন্তু খারাপ বা ভালোর কথা বলিনি। বলেছি দুটো বেমিল মানুষের কথা। খারাপ বা ভালো এক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক’। সবাইকে নিজের পোস্ট ভালোভাবে পড়বার কথা জানিয়ে লম্বা বিবৃতি দিলেন মানসী। তাঁর কথায়, ‘আমি লিখেছি সবাইকেই.. মীনাক্ষীর সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। বিচ্ছেদের কারণও জানি না। এর বেশি লিখলে সেটা দুর্নিবার আর মীনাক্ষীর ব্যক্তিগত অতীতে হস্তক্ষেপ করা হয়ে যাবে। যে অনুচিত কাজ অনেকেই করে চলেছেন এখনও। আমার ওই ‘সবাই কে’ টুকু নিশ্চই মীনাক্ষী বুঝেছেন, যদি তিনি এই পোস্টটি পড়ে থাকেন। তিনি অপমানিত বোধ করেছেন কিনা তাঁর কাছ থেকে জানার ইচ্ছে রইল।’
মানসীর পোস্টে দুর্নিবারের বক্তব্য, ‘তোমরা এইভাবেই আর্শীবাদ করো, তাহলেই আমরা দুজন নিজেদের স্বপ্নপূরণ করতে পারব’।
For all the latest entertainment News Click Here