মৃত্যুকে সঙ্গী করে ‘মনোহরা’য় রাখি বন্ধন! ওমির হাতেই শেষ সিদ্ধার্থ-মিঠাই?
মৃত্যু দরজায় কড়া নাড়ছে। অথচ করার নেই কিছুই। সব চেষ্টাই যেন বৃথা!
‘মনোহরা’য় বিস্ফোরক লুকিয়ে রেখেছে ওমি। আপাতত মোদক পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে বন্দি।দরজা-জানলা খুললেই ফেটে যেতে পারে বোমা! অগত্যা বাইরে যাওয়ার কোনও উপায় নেই। পুলিশের সাহায্য নেওয়ারও পথ নেই। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় সকলের ফোনগুলি নিয়ে চলে যায় ওমি।
সকাল সকাল শ্রীতমাকে ফোনে না পেয়ে উতলা হয়ে পড়ে রাতুল। বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। দুশ্চিন্তায় পড়ে ‘মনোহরা’য় ছুটে যায় সে। সেখানে গিয়ে জানতে পারে ওমির পরিকল্পনার কথা। বাড়ির ভিতরে ঢুকলেই বিপদ। বোমা ফেটে শেষ হয়ে যেতে পারে সব কিছু। বাইরে থেকেই তাই সকলকে সাহায্য করার চেষ্টা করে রাতুল। রুদ্রকে পুরো বিষয়টি জানায় সে।
(আরও পড়ুন: দরজা-জানলা খুললেই মৃত্যু অনিবার্য! সিদ্ধার্থর কাঁধে পরিবারকে রক্ষা করার দায়িত্ব)
অন্য দিকে, ‘মনোহরা’র সদস্যদের উপর এক প্রকার মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছে ওমি। সারা বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেও বিস্ফোরক পায়নি সিদ্ধার্থরা। এমনই সংকটের সময় দাদাদের হাতে রাখি পরিয়ে দেয় শ্রীতমা আর নীপা।
বাড়ির বাইরে থেকে রাতুল জানায়, রুদ্র কলকাতায় নেই। একটি বিশেষ কাজে আগের রাতেই শহর ছাড়তে হয়েছে তাকে। তাই চেয়েও সিদ্ধার্থদের কোনও সাহায্য করতে পারবে না সে। রুদ্রর অনুপস্থিতির কথা ওমির কানেও পৌঁছয়। কিছুটা নিশ্চিন্ত হয় সে। ভেঙে পড়ে মোদক পরিবারের সদস্যরা।
(আরও পড়ুন: মিঠাই-তে এন্ট্রি নিচ্ছেন জি বাংলার চলতি সিরিয়ালের নায়ক! তাও আবার পুলিশের চরিত্রে)
আসলে এ সবটাই রুদ্রর পরিকল্পনা। তার গতিবিধি গোপন রাখতেই রাতুলকে দিয়ে মিথ্যা বলিয়েছে সে। ওমিকে শায়েস্তা করতে পাঠানো হয় স্পেশ্যাল অফিসার সুদীপ্ত রায়কে। বোমাটি ফাটার কয়েক মুহূর্ত আগে দলবল নিয়ে সে ‘মনোহরা’য় আসে।
এত কম সময়ের মধ্যে কি বিস্ফোরক খুঁজে বার করে তা নিষ্ক্রিয় করা যাবে? নাকি ওমির পরিকল্পনাই সফল হবে শেষমেশ? এখন সেটাই দেখার।
For all the latest entertainment News Click Here