মুখোমুখি সংঘর্ষে দাদা-ভাই, হার্দিক আর ক্রুনাল একে অপরকে টেক্কা দিতে কী ছক কষছেন?
সুপার সানডেতে আইপিএলের ম্যাচের আসল লড়াইটা দাদা আর ভাইয়ের মধ্যে। এর আগে দাদা-ভাইয়ের মুখোমুখি সংঘর্ষ বহু বার হয়েছে। তবে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম বার দুই প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক দাদা আর ভাই। ক্রুনাল পাণ্ডিয়া বনাম হার্দিক পাণ্ডিয়ার লড়াইয়ে তাই আলাদা মাত্রা যোগ হয়েছে। কেএল রাহুল চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক এখন ক্রুনাল। আর গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক বরাবরই হার্দিকই ছিলেন।
২০২৩ আইপিএল মরশুমে লখনউ সুপার জায়ান্টসরা তাদের প্রথম ছ’টি ম্যাচের মধ্যে চারটি জিতে একটি উজ্জ্বল সূচনা করেছিল। তার পর থেকে তাদের পারফরম্যান্সের পতন হয়। এর পর তারা চারটি ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে। ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। তবে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে লখনউয়ের ব্যাটিং ব্যর্থতা অব্যাহত ছিল। সুপার জায়ান্টসরা ১৯.২ ওভারে ৭ উইকেটে কোনও মতে ১২৫ রান করছিল। বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে যাওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে যায়। তার আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে বাজে ভাবে হারে লখনউ। পাশাপাশি সেই ম্যাচে এলএসজি অধিনায়ক কেএল রাহুল চোট পেয়ে পুরো আইপিএল থেকেই ছিটকে যান।
এ দিকে গুজরাট টাইটান্স আইপিএলের লিগ টেবলের শীর্ষে রয়েছে। গুজরাট দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। ভীষণই ব্যালেন্স টিম হিসেবে তারা কিন্তু খেলে চলেছে। আর লখনউ কখনও গুজরাটকে হারাতে পারেনি। দুই দল তিনটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে তিনটিতেই হেরেছে লখনউ। এ দিন ক্রুনাল চাইবেন, ভাইয়ের দলকে হারিয়ে ইতিহাস বদলাতে।
আরও পড়ুন: শামিকে টপকে বেগুনি টুপির মালিক তুষার, ৫০০-র গণ্ডি টপকে কমলা টুপির দখল নিলেন ফ্যাফ
লখনই সুপার জায়ান্টসরা এখনও পর্যন্ত প্লে-অফে ওঠার বড় দাবিদার। তাদের ১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট। লিগ তালিকার তিনে রয়েছে তারা। তবে গুজরাটের কাছে হারলে কিন্তু চাপে পড়বে লখনউ। কারণ তাদের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে আরসিবি, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, পঞ্জাব কিংসরা। মজার বিষয় হল, লখনউ তাদের হোম ম্যাচের শেষ চারটিতেই হেরেছে। বরং অ্যাওয়ে ম্যাচে তাদের ফল ভালো। এবং তারা আমদাবাদে জয়ের ধারাই অব্যাহত রাখতে চাইবে।
অন্যদিকে টাইটান্সের সমস্যা হলই তারা এই মরশুমের তিনটি ম্যাচ হেরেছে। যা সুপার জায়ান্টসদের জন্য বড় অক্সিজেন হতে পারে। তবে টাইটান্স চাইবে, সুপার জায়ান্টসের হারিয়ে প্লে-অফের জন্য নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে যেতে। এ দিন তারা জিতলে ১৬ পয়েন্ট হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বাকি টিমগুলির তুলনায় তারা অনেকটা এগিয়ে যাবে এ বং স্বস্তির জায়গায় থাকবে। শেষ তিনটি ম্যাচেউ জয় পেয়েছে গুজরাট। সেই ছন্দই ধরে রেখে প্লে-অফের রাস্তা একেবারে মসৃণ করে ফেলতে চাইবেন হার্দিকরা।
এ দিকে করুণ নায়ারকে ৫০ লক্ষ টাকায় রাহুলের বদলি হিসেবে সুপার জায়ান্টসরা দলে নিয়েছে। নায়ার বছরের মোট পাঁচটি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন এবং ২০২২ সালে রয়্যালসের হয়ে শেষ বার খেলেছিলেন।
আরও পড়ুন: কোহলিদের হারিয়ে লাস্টবয়ের তকমা মুছল DC, CSK উঠে এল দুইয়ে, চাপে RCB, MI
এ দিকে টাইটান্সের জশ লিটল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ডের তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের জন্য দেশে ফিরে যাবেন এবং টাইটান্সের হয়ে পরবর্তী কয়েকটি ম্যাচ মিস করবেন। ১৪ মে তৃতীয় ওয়ানডে শেষে ফের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগ দেবেন তিনি।
গত তিন ম্যাচেই শুভমন গিল এবং মোহিত শর্মাকে টাইটান্সের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে অদলবদল করা হয়েছে। সম্ভবত এ দিনও একই পন্থা নেওয়া হবে। আর লিটলের পরিবর্ত হিসেবে আলজারি জোসেফকে দলে আনার কথা বিবেচনা করতে পারে। তা ছাড়া টিমে আর কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।
সুপার জায়ান্টরা ধারাবাহিক ভাবেই মরশুমে অমিত মিশ্রকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। কাইল মেয়ার্স বা আয়ুশ বাদোনির সঙ্গে অমিতকে বদলানো হচ্ছে। সম্ভবত রবিবারও এই ধারাই অব্যাহত থাকতে পারে। কুইন্টন ডি’কককে নবীন-উল-হক বা মার্কাস স্টোইনিসদের জায়গায় খেলানো হতে পারে।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সহ টাইটান্সের সম্ভাব্য দ্বাদশ: ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), শুভমন গিল, হার্দিক পাণ্ডিয়া (অধিনায়ক), বিজয় শঙ্কর, ডেভিড মিলার, অভিনব মনোহর, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, আলজারি জোসেফ, নুর আহমেদ, মহম্মদ শামি, মোহিত শর্মা।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সহ টাইটান্সের সম্ভাব্য দ্বাদশ: কাইল মেয়ার্স, কুইন্টন ডি’কক, কর্ণ শর্মা/প্রেরক মানকড, ক্রুনাল পাণ্ডিয়া (অধিনায়ক), মার্কাস স্টোইনিস, নিকোলাস পুরান (উইকেটরক্ষক), আয়ুশ বাদোনি, 8 কে গৌতম, মহসিন খান, রবি বিষ্ণোই, আবেশ খান/যশ ঠাকুর, অমিত মিশ্র।
For all the latest Sports News Click Here