মুখে মুখে ছবির গল্প তৈরি! ‘শত্রু’ পরিচালকের জন্মবার্ষিকীতে স্মৃতিচারণে প্রসেনজিৎ
বেঁচে থাকলে এদিন তাঁর বয়স হত ৭৭। এক সময়ের জনপ্রিয় টলি-পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কোনও রাখঢাক না রেখে টলি-তারকা স্পষ্টাস্পষ্টি জানিয়ে দিলেন একসময় অঞ্জন চৌধুরী ছিলেন বলেই বাংলা সিনেমা বেঁচে গেছিল। উত্তমকুমারের মৃত্যু পরবর্তী সময়ে এই মৃতপ্রায় বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ফের বাঁচিয়ে তুলেছিলেন ‘গুরুদক্ষিণা’ ছবির পরিচালক। ইন্ডাস্ট্রিতে ওঁর অবদান অতুলনীয়। বাংলা ছবি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া দর্শকদল যে ফের হু হু করে সিনেমা হলে ঢোকা শুরু করেছিল তাঁর প্রধান কারিগর ছিলেন এই পরিচালক, দাবি খোদ ‘ইন্ডাস্ট্রির’।
প্রসেনজিৎ আরও জানান শুধু ছবি পরিচালক নন, ছবির গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার হিসেবেও এককথায় দুর্দান্ত ছিলেন অঞ্জনবাবু। দর্শকদের পালসটা খুব ভালো নিরিখ করতে পারতেন। আশির দশকে রঞ্জিত মল্লিককে নিয়ে তাঁর ছবি ‘শত্রু’ মৃতপ্রায় বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রির মরা গাঙে বান এনেছিল। প্রসেনজিতের কেরিয়ারেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন এই পরিচালকের। ‘বুম্বা দা’-র কথায়, ‘আমার সুপারহিট ছবি ‘অমর সঙ্গী’-র গল্প ও চিত্রনাট্য তো লেখা অঞ্জনদার। তখন এমন হয়েছিল একদিকে, ‘অমর সঙ্গী’, অন্যদিকে, ‘গুরুদক্ষিণা’-দুটো ছবিই হলে ৫০ দিন ধরে চলছে। একটা ছবির গল্প-চিত্রনাট্য অঞ্জনদার, আরেকটির পরিচালক তিনি। পরবর্তী সময়ে ওঁর ‘বউ’ সিরিজের ছবিগুলো যাকে বলে ট্রেন্ডসেটার’। নিজের চোখে একসময় দেখেছি বড়পর্দায় অঞ্জনদার নাম দেখানো মাত্রই দর্শকরা পয়সা ছুঁড়ে মারত। যেমন তারকার নাম দেখালে সেসময় করা হতো’।
বেঁচে থাকলে এদিন তাঁর বয়স হত ৭৭। এক সময়ের জনপ্রিয় টলি-পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কোনও রাখঢাক না রেখে টলি-তারকা স্পষ্টাস্পষ্টি জানিয়ে দিলেন একসময় অঞ্জন চৌধুরী ছিলেন বলেই বাংলা সিনেমা বেঁচে গেছিল। উত্তমকুমারের মৃত্যু পরবর্তী সময়ে এই মৃতপ্রায় বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ফের বাঁচিয়ে তুলেছিলেন ‘গুরুদক্ষিণা’ ছবির পরিচালক। ইন্ডাস্ট্রিতে ওঁর অবদান অতুলনীয়। বাংলা ছবি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া দর্শকদল যে ফের হু হু করে সিনেমা হলে ঢোকা শুরু করেছিল তাঁর প্রধান কারিগর ছিলেন এই পরিচালক, দাবি খোদ ‘ইন্ডাস্ট্রির’।
প্রসেনজিৎ আরও জানান শুধু ছবি পরিচালক নন, ছবির গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার হিসেবেও এককথায় দুর্দান্ত ছিলেন অঞ্জনবাবু। দর্শকদের পালসটা খুব ভালো নিরিখ করতে পারতেন। আশির দশকে রঞ্জিত মল্লিককে নিয়ে তাঁর ছবি ‘শত্রু’ মৃতপ্রায় বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রির মরা গাঙে বান এনেছিল। প্রসেনজিতের কেরিয়ারেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন এই পরিচালকের। ‘বুম্বা দা’-র কথায়, ‘আমার সুপারহিট ছবি ‘অমর সঙ্গী’-র গল্প ও চিত্রনাট্য তো লেখা অঞ্জনদার। তখন এমন হয়েছিল একদিকে, ‘অমর সঙ্গী’, অন্যদিকে, ‘গুরুদক্ষিণা’-দুটো ছবিই হলে ৫০ দিন ধরে চলছে। একটা ছবির গল্প-চিত্রনাট্য অঞ্জনদার, আরেকটির পরিচালক তিনি। পরবর্তী সময়ে ওঁর ‘বউ’ সিরিজের ছবিগুলো যাকে বলে ট্রেন্ডসেটার’। নিজের চোখে একসময় দেখেছি বড়পর্দায় অঞ্জনদার নাম দেখানো মাত্রই দর্শকরা পয়সা ছুঁড়ে মারত। যেমন তারকার নাম দেখালে সেসময় করা হতো’।
|#+|
তারকার কথাতেই জানা গেল ভীষণ আমুদে, ঠান্ডা মাথার মানুষ ছিলেন অঞ্জনবাবু। খুব সাধারণ মানুষ ছিলেন।মুখে গল্প শোনাতে শোনাতে ছবির ‘ব্লু-প্রিন্ট’ তৈরি করে ফেলতেন। নিয়মানুবর্তীতায় বিশ্বাসী ছিলেন। শ্যুটিংয়ে খোলামেলা আলাপ, আলোচনার পাশাপাশি হাসি ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখতেন। প্রসেনজিতের কথায়, ‘সকাল ১০টা-১১টার সময় শুটিং রাখতেন। সাড়ে ৫টা-৬টার মধ্যে প্যাক আপ করে দিতেন। তারপর মজা করেই বলতেন যে সারাদিনে সবাই অনেক পরিশ্রম করেছে এবার যে যাঁর মতো বিশ্রাম নাও। মানে যাকে বলে সময়টার সময়ে বিষয়টায় বিশ্বাসী ছিলেন’। কথা শেষে দৃঢ় গলায় ‘মনের মানুষ’ জানিয়েছেন তাঁর বিশ্বাস বাংলা সিনেমার ইতিহারে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে অঞ্জন চৌধুরীর নাম।
For all the latest entertainment News Click Here