‘মুকেশেই সেরা বোলার, বলেছিলেন ওয়াকার, তারপর…’, মুখ খুললেন KKR-র প্রাক্তন কর্তা
বিহারের গোপালগঞ্জ থেকে যাত্রাটা শুরু হয়েছিল। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স হয়ে এখন ভারতীয় দলের বৃত্তে এসেছেন মুকেশ কুমার। যিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। তবে শুধু এখন নয়, প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞদের নজর কাড়ছেন মুকেশ। কলকাতার নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্য জানালেন, তাঁর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছিলেন ওয়াকার ইউনিসও।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচের আগে ক্রিকবাজে মুকেশের পুরনো দিনের কাহিনি শোনান কেকেআরের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর। যে সিরিজের জন্য ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন মুকেশ। জয় বলেন, ‘ও (মুকেশ) দুর্দান্ত খেলোয়াড় এবং ওর পুরনো দিনের কাহিনিও চমকপ্রদ। ও আদতে গোপালগঞ্জের ছেলে। ওর বাবার ইচ্ছা ছিল যে ছেলে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সে (সিআরপিএফ) যোগ দেবে। ও তিনবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সাফল্য মেলেনি। সেরা কাহিনিটা হয়েছিল সিএবিতে। কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় বেছে নেওয়ার জন্য (সিএবির ভিশন ২০২০) ওয়াকার ইউনিসের কলকাতায় আসার কথা ছিল। (ওয়াকার আসার আগে) কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় চিহ্নিত করার জন্য একটি ট্রায়াল হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: Irani Trophy 2022: দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি ঈশ্বরনের, অবশিষ্ট ভারতের ইরানি জয়ে ম্যাচের সেরা বাংলার মুকেশ
কেকেআরের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর আরও বলেন, ‘সেই ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরে একটা বাচ্চা জয়দীপের কাছে আসে এবং বলে যে নেটে আমায় শুধু একটা বল করতে দেবেন। ও বল করার সুযোগ পায়নি, কারণ ওখানে প্রচুর খেলোয়াড় ছিল এবং ওর কোনও ক্লাব ছিল না। ও নেটে একটা বল করেছিল। ওকে পছন্দ হয়েছিল (জয়দীপের)। তাই পরের বলটা করতে বলেছিল। জয়দীপের মনে হয়েছিল যে এই বাচ্চাটার মধ্যে কিছু একটা ব্যাপার আছে। পরদিন জয়দীপের কিছু কাজ ছিল। ওয়াকার ওর পর্যালোচনা করেছিল এবং বলেছিল যে ও একমাত্র ভালো খেলোয়াড়। যারা খেলছে, তাদের মধ্যে ওই সেরা।’
আরও পড়ুন: Irani Trophy 2022: দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি ঈশ্বরনের, অবশিষ্ট ভারতের ইরানি জয়ে ম্যাচের সেরা বাংলার মুকেশ
সেখানেই থেমে থাকেননি মুকেশ। বাংলার রঞ্জি দলে জায়গা পান। পরবর্তীতে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেন। জয় বলেন, ‘ও তারপর বাংলা দলে সুযোগ পায়। কিন্তু ওর থাকার কোনও জায়গা ছিল। ইডেন গার্ডেন্সে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল সিএবি। তৎকালীন সিএবির ফিজিয়ো ও বর্তমানে ভারতীয় দলের ফিজিয়ো কমলেশ জৈন বলেছিল, ও (মুকেশ) এতটাই দুর্বল ছিল যে ১০ কেজি ওজনও তুলতে পারেনি। তাই ওর জন্য ডায়েট চার্ট তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। এক বছর পর ও বাংলাকে রঞ্জি ফাইনালে তুলেছিল। তাই একজন খেলোয়াড়ের শুধু ভাগ্য থাকলেই হবে না, একজন খেলোয়াড়কে গড়ে তোলার জন্য অনেক জিনিস দরকার।’
For all the latest Sports News Click Here