মিলল না জামিন, মাদককাণ্ডে গ্রেফতার পরীমনির ঠাঁই কাশিমপুর জেলে
শুক্রবার ফের একবার পরীমনির জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল বাংলাদেশের এক আদালত। দুই দফায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে গতকাল, আজ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে পরীমনিকে পেশ করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীমনিকে জেলে আটক রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল সিআইডির তরফে।
পরীমনির জামিনের বিরোধিতা করে সরকার, অভিনেত্রী আইনজীবীর সঙ্গে সরকারি পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমানচন্দ্র মণ্ডল পরীমণির জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করেন। কাশিমপুর সংশোধনাগারে বন্দি থাকবেন পরীমনি। অভিনেত্রীর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু, পরীমনির একটি সিনেমার প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং তার ব্যবস্থাপক সবুজ আলীরও জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত।
কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মহিলা বন্দিদের রাখার ব্যবস্থা না থাকায় পরীমনিকে কাশিমপুরের মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন সিআইডির তরফে অভিনেত্রীর নতুন করে রিমান্ড দাবি করা হয়নি, তাই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়নি। মাদক মামলায় জেল হেফাজত মঞ্জুর হলেও, পর্নোগ্রাফির অপর একটি মামলায় রাজ ও সবুজের চার দিনের রিমান্ডে সিআইডি হেফাজতের মঞ্জুরি দিয়েছে আদালত।
এদিন পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান আদালতকে জানান, পরীমণি ‘ভার্টিগো’ এবং ‘প্যানিক অ্যাটাক’-এর রোগী। দীর্ঘসময় ধরে পুলিশ হেফাজতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে, মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও অভিযোগ তোলেন তিনি। জরুরি চিকিৎসার স্বার্থে পরীমনিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হোক, দাবি তোলেন আইনজীবী।
তবে সিআইডির তরফে জামিনের বিরোধিতা করে বলা হয়, ‘মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমণি ওরফে পরীমণিকে জেলহাজতে রাখা প্রয়োজন’। পরীমনি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে, এমনকি পরীমনি ফেরার হতে পারেন এমনও আশঙ্ক্ষা প্রকাশ করে সিআইডি। পরীমনির পাসপোর্ট জমা রেখে, করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করে জামিনের আর্তি রাখেন অভিনেত্রীর কৌঁসুলি। উভয়পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে জামিন না-মঞ্জুর করে আদালত।
গত ৪ অগস্ট ঢাকার বনানীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন পরীমনি।
For all the latest entertainment News Click Here