অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন দেব সমানতালে। তবে আর পাঁচজন রাজনীতিবিদের মতো তাঁকে নিয়েও উঠেছে নানা বিতর্ক। তাঁর নামে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ এনে একাধিকবার কটাক্ষ করেছেন তাঁর একসময়ের সহকর্মী হিরণ। যিনি এখন বিজেপির বিধায়ক। এবার বিজেপির অন্দর থেকে ফের উঠল গলা দেবের বিপক্ষে। অভিনেতার দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন শঙ্কুদেব পাণ্ডা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে।
‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট বেঙ্গল’-কে শঙ্কু হঠাৎ বলে বসলেন, ‘দেব তো এখন মিঠুনদার পায়ে গিয়ে পড়েছে…’ দেবের নামে এর আগেও উঠেছে ‘গোরু পাচার থেকে টাকা খাওয়ার’ অভিযোগ। শঙ্কুর গলাতেও ধরা পড়ল সেই সুর। বললেন, ‘তিনটে কোম্পানি থেকে টাকা গেছে ওর কাছে। যেই কোম্পানির বিরুদ্ধে গোরু পাচারের অভিযোগ আছে। তাই তো ওকে তিনবার সেন্ট্রাল এজেন্সি ডেকে পাঠিয়েছে। ও তো সাংসদ, স্পষ্ট করুন। শত্রুপক্ষ তো ওই কারণেই ওঁকে চোর বলছে। রাজনীতি করতে এসছে যখন ওঁকে তো জবাব দিতেই হবে।’
সাংসদ দেবের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এরপর শঙ্কু বলেন, ‘একটা রিসার্চ বলছে সারা ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে কম লোকসভায় গেছে এক ভদ্রলোক। যিনি সারে চারবছর ধরে জেলে। যার পার্সেন্টেজ ১০ শতাংশের নীচে। আর দেব ১১ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় নম্বরে আছেন জেলের বাইরে থেকেও। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করবে বলে ভোটে দাঁড়াল। তারপর কিছুই করল না।’
হিরণের গলায় গলা মিলিয়েই বলে উঠলেন, ‘ঘাঁটালের মানুষ বণ্যায় মরছে, তিনি বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবার গর্ব করে বলছেন আমি অমুক জায়গায় (পড়ুন মলদ্বীপ), আমি গ্রিসে গেছিলাম। এখানে লোক ডুবে যাচ্ছে। লোক বাঁচতে পারছে না, তিনি গ্রিসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাহলে গ্রিসেই ঘুরতে পারতেন।’
‘ কিছুই তো জানে না। লোক দেখিয়ে দেয় অভিনয় করে। লোকসভায় এত কম গেলে কাজটা করবে কী করে। মানুষের এইটুকু আশা, সেটাও পূরণ করতে পারছে না। এখন তো বলছে মিঠুনই আমার মহাগুরু, ভগবান। মিঠুন দার পায়ে গিয়ে পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তো আর নিচ্ছে না শুনছি। বড় রাজনীতি। এর আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছে বাড়ির কোনও অনুষ্ঠানেও অন্য দলের কাউকে ডাকা যাবে না। সেখানে মিঠুনকে নিয়ে ছবি করছে মহা বিপ্লবী হয়ে! ঘাটালে এবার দেব তৃণমূলের হয়ে দাঁড়াবেই না।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
For all the latest entertainment News Click Here