মিঠাইয়ের পাল্লায় পড়ে এ কী করল সিড! মোদক পরিবারের নতুন ঠিকানা জানেন?
শত্রুদের পরিকল্পনা সফল। মোদক পরিবার এখন ঘরছাড়া। নতুন বিপদের সম্মুখীন তারা।
সিদ্ধেশ্বরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে, মিষ্টির ব্যবসার আড়ালে সে অন্য কোনও কারবার চালাচ্ছে। বিষয়টির তদন্তভার পুলিশের হাতে। আর সেই কারণেই মোদক পরিবারের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। ‘মনোহরা’ ছেড়ে দেওয়ারও নির্দেশ হওয়ার হয় তাদের। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত প্রত্যেকেই এই সমস্যার কারিগর কে, তা আঁচ করা যাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু হাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই!
ওমি আগরওয়ালের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ময়দানে নেমেছে আদিত্য। স্থানীয় কাউন্সিলার প্রমীলা সাহায্য পাচ্ছে সে।
‘মনোহরা’র জমি কিনে নিতে চায় আদিত্য। মিঠাইদের বাসস্থানকে ধূলিসাৎ করে দেওয়াই তার একমাত্র লক্ষ্য। কার্যসিদ্ধির জন্য সিদ্ধেশ্বরকে বাড়ি বিক্রি করার প্রস্তাব দেয় প্রমীলা। পরিবর্তে বিপুল পরিমান অর্থ আর বিলাসবহুল ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ারও লোভ দেখায়। কিন্তু সিদ্ধেশ্বর তাতে রাজি হয় না। জানিয়ে দেয়, বাড়ি সে বিক্রি করবে না।
(আরও পড়ুন: ‘মনোহরা’ ছেড়ে দিতে হল মিঠাইদের, আশ্রয়ের জন্য এ কোথায় গিয়ে পড়ল মোদক পরিবার!)
এর পর বাঁকা পথে হেঁটে নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করে আদিত্য। মোদক পরিবার এখন বাস্তুহারা। নাতজামাইদের সাহায্য নিতে চায় না সিদ্ধেশ্বর। সিদ্ধার্থকে তাই একটি কম দামের ভাড়া বাড়ি খোঁজার নির্দেশ দেয় সে।
(আরও পড়ুন: মোদক পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ! ‘মিঠাই’-এর গল্পে বড় মোড়!)
সিদ্ধার্থ আর সন্দীপ মিলে একটি বাড়ি খুঁজে বার করে। কিন্তু বাড়িওয়ালা যে ‘খিটখিটে’! বাড়িতে থাকতে হলে বেশি জল খরচ করা চলবে না, রাত ১০টার পর আলো জ্বালানো চলবে না— এমনই সব ফতোয়া চাপিয়েছে। কিন্তু সিদ্ধার্থ কি মেনে নেওয়ার পাত্র? বাড়িওয়ালার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দেয় সে।
অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দেয় সন্দীপ। নতুন বাসস্থান সাজানোর কাজে লেগে পড়ে মিঠাই আর হল্লাপার্টি। হাতে ঝাড়ু তুলে নেয় সিদ্ধার্থও। বিপদে মনোবল হারাতে রাজি নয় তারা।
শেষমেশ কি আদিত্যর ষড়যন্ত্র সামনে আসবে? ‘মনোহরা’ ফিরে পাবে মিঠাইরা? এখন সেটাই দেখার।
For all the latest entertainment News Click Here