‘মিঠাই’এর রাজত্ব বছরভর, মাঝপথে খেই হারালো ‘খড়কুটো’, অপু-যমুনা-সর্বজয়াও নজরকাড়া

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের এক নম্বর সিরিয়াল মিঠাই, সেই নিয়ে দ্বিমতের কোনও জায়গাই নেই। টিআরপি তালিকায় মিঠাই রানির আসন টলাবে এমন সাধ্যি কার! রাত আটটা বাজলেই এখন বাঙালির ড্রয়িং রুমের বোকাবাক্সটিতে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে ‘তুফান মেল’। চলতি বছরের শুরুতেই জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছিল ‘মিঠাই’। লিড রোলে সৌমিতৃষা কুণ্ডু এবং আদৃত রায়। এর আগে ছোটপর্দায় বেশ কিছু সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন সৌমিতৃষা, তবে মিঠাই তাঁর কেরিয়ারের একটা মোড় ঘোরানো মাইলফলক। অন্যদিকে এই সিরিয়ালের সঙ্গেই ছোটপর্দায় পা রেখেছেন ‘নুরজাহান’, ‘প্রেম আমার ২’-এর মতো ছবির নায়ক আদৃত রায়। 

বছরের শেষ সপ্তাহেও টিআরপি তালিকায় এক নম্বর স্থান ধরে রেখেছে ‘মিঠাই’, যার জেরে একটানা ৩৮ সপ্তাহ প্রথম স্থান ধরে রেখেছে জি বাংলার এই ধারাবাহিক। এই লম্বা সময় ধরে মিঠাই-এর ধারে কাছেও আসেনি অন্য কোনও সিরিয়াল, সে এক্কেবারে অদ্বিতীয়। 




জনাইয়ের মনোহরা বিক্রেতা মেয়ে মিঠাইয়ের মোদক বাড়ির বউ হয়ে ওঠা, এবং তারপর বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাস না রাখা স্বামীর সঙ্গে সংসারের গল্প উঠে এসেছে এই সিরিয়ালে। মিঠাইয়ের সারল্য কেমনভাবে মন পালটেছে সিদ্ধার্থর তাও ইতিমধ্যেই দেখেছে দর্শক। নতুন বছরে আরও নতুন চমক থাকে এই সিরিয়ালের ঝুলিতে, শোনা যাচ্ছে এবার পরস্পরকে ভালোবাসার কথাও নাকি বলে দেবে তাঁরা। 

গত বছরের শেষের দিকে পথচলা শুরু হয়েছিল ‘অপরাজিতা অপু’র। স্বাধীনচেতা মেয়ে অপুর স্বপ্ন বিডিও হওয়ার, অথচ ঘটনাচক্রে তাঁর বিয়ে হয় রক্ষণশীল পরিবারে। তবুও নিজের অদম্য জেদ আর সাহস নিয়ে লক্ষ্যপূরণের পথে এগিয়ে যায় অপু। ইতিমধ্যেই সে বিডিও পদে যোগ দিয়েছে। টিআরপি তালিকায় বরাবরই প্রথমদিকেই থেকেছে এই সিরিয়াল। বছরভর সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে অপু-দীপুর জুটি। নতুন বছরে এই কাহিনিতে নতুন টুইস্টের দিকে তাকিয়ে দর্শক। 

ছোট পর্দা কাঁপাচ্ছে জি বাংলার কন্যেরা 
ছোট পর্দা কাঁপাচ্ছে জি বাংলার কন্যেরা 

একটা সময় স্টার জলসার তরফে টানা টিআরপি টপার থেকেছে ‘খড়কুটো’। গুনগুন-সৌজন্যর দাম্পত্য জীবনের নানান মুহূর্ত, মুখোপাধ্যায় পরিবারের হাসি-ঠাট্টা বাঙালির ড্রয়িং রুমকে আলোকিত করেছে। তবে গত কয়েক মাসে ছন্দ হারিয়েছে ‘খড়কুটো’। গুনগুন-সৌজন্যর (তৃণা-কৌশিক) মাঝখানে তিন্নিক অযাচিত এন্ট্রি মোটে পছন্দ নয় তাঁদের। টিআরপি তালিকাতেও তাঁর স্পষ্ট প্রতিফলন। গত কয়েক সপ্তাহ তো সেরা দশেও জায়গা হয়নি এই সিরিয়ালের। নতুন বছরে কতটা বদলাবে গল্পের ট্র্যাক? সেটা দেখবার বিষয়।

 ‘যমুনা ঢাকি’কে নিয়ে ট্রোলিংয়ের শেষ নেই সোশ্যাল মিডিয়ায়। কখনও যমুনা ঢাক বাজানো তো কখনও গিটার বাজানো নিয়ে মশকরা শুরু করেন নেটিজেনরা। কিন্তু সিরিয়ালপ্রেমীরা কিন্তু ‘যমুনা ঢাকি’র লড়াইয়ের কাহিনিকে বেশ পছন্দ করে। মেয়েরা পারে না বলে কিছু নেই। সাধারণ ধ্যান ধারণাকে বদলে দিয়ে সমাজে এক নজির গড়ে তোলার কাহিনি ‘যমুনা ঢাকি’। লিড রোলে অভিনয়ে রয়েছেন শ্বেতা ভট্টাচার্য ও রুবেল দাস। বছর জুড়ে কমবেশি প্রথম তিনে নিজের জায়গা ধরে রেখেছে ‘যমুনা ঢাকি’।

দর্শকদের ‘চোখের বালি’ তিন্নি
দর্শকদের ‘চোখের বালি’ তিন্নি

চলতি বছর যে সকল সিরিয়াল শুরু হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ‘সর্বজয়া’। জুলাই মাসে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকের সঙ্গে অভিনয়ের দুনিয়ায় কামব্যাক করেছেন দেবশ্রী রায়। ধনী ব্যবসায়ী সঞ্জয়ের স্ত্রী সর্বজয়া, বিয়ের এতো বছর পরেও প্রতি পদে পদে শ্বশুরবাড়িতে কী করণের হেনস্থা আর অপমানের শিকার হতে হয় মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সর্বজয়াকে সেই নিয়ে এই সিরিয়ালের গল্প। যদিও সর্বজয়ার স্বামী সঞ্জয় কিন্তু সর্বদা স্ত্রীকে আগলে রাখেন। শুরুর পর থেকেই টিআরপি তালিকায় ভালো রেজাল্ট করেছে ‘সর্বজয়া’। শুরুতে অনেকেই ‘সর্বজয়া’কে ‘শ্রীময়ীর ডুপ্লিকেট’ বলে ট্রোল করেছিল কিন্তু সব কটাক্ষের জবাব দিয়েছে দেবশ্রীর দুর্দান্ত অভিনয়।

বছরের এক্কেবারে শেষর দিকে শুরু হওয়া ‘উমা’ এবং ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’ও এখন রমরমিয়ে চলছে। দুই সিরিয়ালের গল্পই গপগপ করে গিলছে সিরিয়াল প্রেমীরা। টিআরপি তালিকাতেও দারুণ ফল দুজনেরই। তবে এই সাফল্য ধারাবাহিকভাগে কতটা বজায় রাখতে পারবে উমা-খুকুমণি, তার জবাব মিলবে নতুন বছরে।

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.