‘মা মারা গেছে হাসছে ছেলে!’,পামেলার শেষকৃত্যে আমিরকে ‘হাসি মুখে’ জড়িয়ে ট্রোল উদয়
বলিউডের খ্যাতনামা প্রয়াত পরিচালক যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলা চোপড়ার মারা যাওয়ার খবর আসে বৃহস্পতিবারে। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই চোপড়া ম্যানসনে ভিড় জমান তারকারা। পামেলাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন শাহরুখ থেকে সলমন, হৃতিক থেকে আলিয়া, ক্যাটরিনা, দীপিকারা। ইন্টারনেটে একাধিক ভিডিয়ো শেয়ার হয়েছে পাপারাজ্জো অ্যাকাউন্ট থেকে। আর সেই সব ভিডিয়ো দেখেই নেট-নাগরিকদের তির্যক মন্তব্যের মুখে পড়তে হল পামেলার ছোট ছেলে অভিনেতা উদয় চোপড়াকে।
১৯৭০ সালে বিয়ে হয় যশ চোপড়া আর পামেলার। তাঁদের দুই সন্তান আদিত্যর জন্ম ১৯৭১ সালে আর উদয় চোপড়ার জন্ম হয় ১৯৭৩ সালে। বড় ছেলে আদিত্য প্রথম থেকেই সামলাচ্ছেন পরিচালনা-প্রযোজনার দায়িত্ব। উদয় অভিনয়ে এলেও সেভাবে নাম করতে পারেননি। আরও পড়ুন: জমাতে পারলেন না সলমন! প্রথম দিনে ছবি ঘরে তুলল মাত্র ১৫ কোটি, হতাশ ভক্তরা
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে মুখে হাসি নিয়েই আমির খান আর কিরণ রাওকে জড়িয়ে ধরছেন উদয় চোপড়া। যা দেখে স্পষ্টতই বিরক্ত হন নেটিজেনদের একাংশ। সঙ্গে আবার কেউ কেউ বডি শেম করেছেন উদয়কে। বহুদিন তিনি রুপোলি পর্দা থেকে দূরে আছেন। ওজন এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে চিনতে পারাই দায়। আরও পড়ুন: আলিয়ার চটি যশ চোপড়ার বাড়ির অন্দরে রাখল রণবীর, তাও আবার ঠাকুরের প্রদীপের সামনে!
একজন কমেন্ট করেছেন, ‘ও কেন হাসছে? এটা তো কোনও আম্বানি ইভেন্ট নয় এটা একজনের শেষকৃত্য। উদয় চোপড়া কেন কিরণ রাওকে হাসিমুখে অভিবাদন জানাচ্ছেন’। আরেকজন লিখলেন, ‘মা মারা যাওয়ার পরেও কেউ এভাবে হাসতে পারে! বলিউডের লোকেদের যত দেখি ততই যেন অবাক হই’। তৃতীয়জন লিখলেন, ‘কেমন চেহারা হয়েছে। মোটা হয়ে গেছে বাজে ভাবে।’ চতুর্থজন লিখলেন, ‘মোদিজীর মতো লাগছে দেখতে’।
বৃহস্পতিবার ২০ এপ্রিল মুম্বইতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলা চোপড়া। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫। ১৫ দিন ধরে লীলাবতী হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে ছিলেন। আক্রান্ত ছিলেন নিউমোনিয়ায়।
পামেলা তাঁর প্রয়াত স্বামীকে জীবদ্দশায় নানাভাবে সাহায্য করে গিয়েছিলেন। একাধিক সিনেমায় কখনো লেখক হিসেবে, কখনো পোশাক ডিজাইনার হিসেবে বা কখনো গায়িকা হিসেবে তাঁর নাম দেখা গিয়েছে সিনেমার টাইটেল কার্ডে। তাঁর গাওয়া বিখ্যাত গানগুলির মধ্যে অন্যতম চাঁদনীর ‘ম্যায় সসুরাল নাহি জাউঙ্গি’ এবং দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’র ‘ঘর আজা পরদেশি’, যেখানে তিনি মনপ্রীত কৌরের সঙ্গে কৃতিত্ব ভাগ করে নেন।
যশ চোপড়ার ১৯৭৬ সালের সিনেমা ‘কাভি কাভি’-র গল্পটিও লিখেছিলেন পামেলাই। ১৯৮১ সালের সিনেমা ‘সিলসিলা’র ডিজাইনার ছিলেন তিনি। যশ চোপড়া তাঁর দেওয়া একাধিক সাক্ষাৎকারে ‘যশরাজ ফিল্মস’-এর অন্যতম ভিত্তি হিসেবে নাম নিয়েছিলেন স্ত্রী পামেলার। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর কাঁধে কাংধ মিলিয়ে কাজ করে গিয়েছেন ভারতীয় সিনেমা জগতে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
For all the latest entertainment News Click Here