মা-বাবা কাঁদতে শুরু করেছিল- তিলকের বিশ্বাস সচিন,কোহলিদের টিপসই তাঁকে সাফল্য দেবে

দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালে উত্তরাঞ্চলের বিরুদ্ধে ম্যাচে দক্ষিণাঞ্চলকে কিছুটা হলেও ভরসা দিয়েছেন তিলক বর্মা। তিনি প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ করতে যেন মুখিয়ে রয়েছেন, ভারতীয় দলে তিনি অন্যায্য ভাবে ঢুকে পড়েননি, বরং ভালো পারফরম্যান্স করে তবেই ডাক পেয়েছেন। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য স্কোয়াডে ডাক পেয়ে স্বপ্নপূরণ হওয়ার আনন্দে ভাসছেন তিলক।

বুধবার সন্ধ্যায় ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাওয়ার কথা তিলক বর্মাকে জানিয়েছিলেন তাঁর এক ছেলেবেলার বন্ধু। এর পর তিলক তাঁর বাবা-মাকে ভিডিয়ো কল করে খবরটি জানান। তিলক বলেছেন, ‘আমার মা এবং বাবা গতকাল (বুধবার) আক্ষরিক অর্থেই কাঁদছিল। আমি ওদের একটি ভিডিয়ো কল করেছিলাম এবং ওরা খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল। আমার কোচেরও (সালাম বায়াশ) একই প্রতিক্রিয়া ছিল। তিনিও খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘ভারতীয় দলে নির্বাচিত হওয়াটা বড় ব্যাপার। আমি আমার শৈশবের কয়েক জন বন্ধু এবং বাবা-মা ও কোচের সঙ্গে কথা বলেছি, যাঁরা এই যাত্রায় আমার সঙ্গে ছিলেন। ঘুমের মধ্যেও আমি নির্বাচনের কথাই ভাবছিলাম। এটা (নির্বাচন) একটা বড় বিষয় কিন্তু আমি এটাকে একপাশে সরিয়ে রেখেছি। কারণ আমার কাছে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ম্যাচটা জেতাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

আরও পড়ুন: হাসিন জাহানের প্যাঁচে সুপ্রিম কোর্টে চাপে শামি, গ্রেফতার হতে পারেন বিশ্বকাপের আগে

দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে তিলক বর্মা ৪৬ রান করেন। উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংসে ১৯৮ রান করেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯৫ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চল। করা ভার্মা বলেছেন, দক্ষিণ জোন তিন রানের লিড হারানোর পর তারা ১৯৫ রানে গুটিয়ে যায়। তিলকের ৪৬ ছাড়াও মায়াঙ্ক আগরওয়াল সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন। উত্তরাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসেও বেশ নড়বড় করছে। দেখার, তিলকরা ম্যাচটা জিততে পারেন কিনা!

আরও পড়ুন: Ashes 2023: হেডিংলেতে প্রথম দিনেই পড়ল ১৩ উইকেট, ১৯৫ রানে পিছিয়ে ইংল্যান্ড

ভারতের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের শীর্ষে একটি নির্দিষ্ট ব্যাটিং লাইন আপ থাকায়, তিলক বর্মাকে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে হতে পারে। যেমনটা তিনি আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে করেছিলেন। এটি খুব সহজ কাজ নয়। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যাটিং কোচ ছিলেন কায়রন পোলার্ড। তাঁর থেকে ভালো কিছু পরামর্শ পেয়ে নিজেকে তৈরি করেছিলেন তিলক। তিলক অবশ্য বলছেন, ‘আমি সব সময়ে যে কোনও পরিস্থিতিতে নিজের সেরাটা দিতে তৈরি। আমি নিজের ভাবনায় পরিষ্কার থাকতে চাই, পোলার্ড ছিলেন প্রধান ব্যক্তি, যিনি সেই পরিস্থিতিতে আমাকে সাহায্য করেছিলেন। তিনি আমাকে সব সময়ে ঠাণ্ডা মাথা রাখতে বলতেন এবং পরের বলের দিকে মনোনিবেশ করতে বলতেন। যখন মাথা ঠাণ্ডা থাকে, তখনই ভালো শট খেলা সম্ভব হয়।’

সচিন তেন্ডুলকর, রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির কাছ থেকে কিছু মূল্যবান টিপস পেয়েছেন তিলক বর্মা। তরুণ তারকা বলছিলেন, ‘ওঁরা আমাকে সব সময়ে বলেন যে, যখন ম্যাচের আগের দিন রুমে থাকবে, তখন সব সময়ে ভাববে যে, আগামী কাল কী ভাবে ব্যাট করব। এই বিষয়টি আমাকে কী ভাবে ব্যাট করতে হয়, সেটা কল্পনা করতে সাহায্য করে। যেমন একটি বিশ্বকাপের ম্যাচেও যদি ৪০ বা ৫০ রানে চার উইকেট বা পাঁচ উইকেট পড়ে যায়, তখন কী ভাবে খেলতে হবে, সেটাও পরিকল্পনায় থাকে। এই মানসিকতা নিয়ে আমি কাজ করছি, যাতে এটি আমাকে এগিয়ে যেতে সহায্য করে। এটা করার ফলে আমার জন্য ব্যাট করা সহজ হচ্ছে।’

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.