‘মা-বাবাকে হারানোর থেকে বড় আর কিছু হয় না’, ঋষির চলে যাওয়া নিয়ে বললেন রণবীর
২০২০ সালের এপ্রিল মাসে না ফেরার দেশে চলে যান ঋষি কাপুর। একমাত্র ছেলের বিয়ে বা বাচ্চা হওয়া কিছুই দেখে যেতে পারেননি তিনি। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর প্রাণ হারান তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ঋষিকে নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
পিটিআই-এর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে রণবীরকে বলতে শোনা যায় পিতামাতার মৃত্যু একজন ব্যক্তিকে কীভাবে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে কথা বলেছেন। ‘একজন ব্যক্তির জীবনে সবচেয়ে বড় জিনিসটি ঘটে যখন আপনি আপনার পিতা-মাতার মধ্যে একজনকে হারান। এটি সত্যিই কিছু… বিশেষ করে যখন আপনি আপনার ৪০ এর কাছাকাছি, সেই সময়ই সাধারণত এই ধরনের কিছু ঘটনা ঘটে… কোনও পরিস্থিতিই আপনাকে এর জন্য প্রস্তুত করে না। তবে এটি পরিবারকে কাছাকাছি নিয়ে আসে। এটি আপনাকে জীবনকে বুঝতে শেখায়।’, বলেন কাপুর-নন্দন।
ঋষির মৃত্যুর পর রণবীর ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে সহ-অভিনেতা আলিয়া ভাটের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন এবং ২০২২ সালে নভেম্বর মাসে মেয়ে রাহার বাবা হয়েছেন। গত তিন বছর এভাবেই হাসি-কান্নায় কেটেছে তাঁর। সেই প্রসঙ্গে ব্রহ্মাস্ত্র অভিনেতা বলে ওঠেন, ‘অনেক ভালো আর খারাপ জিনিস এসেছে… আমি একটি কন্যা সন্তানের আশীর্বাদধন্য হয়েছি। গত বছর আলিয়াকে বিয়ে করেছি। জীবনে উত্থান-পতন হয়েছে। কিন্তু এটাই তো জীবন। তাই না?’
কাউকে ভালোবাসা বা হারানো কীভাবে প্রভাব ফেলে একজন অভিনেতার জীবনে, প্রশ্নে রণবীর জানান, ‘শিল্পীদের জীবনে প্রভাব তো ফেলেই, তবে সঠিকভাবে বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয়। হয়তোবছর দুয়েক পর বুঝব… আমার বাবা যখন ক্যান্সারে ভুগছিলেন ও তাঁর চিকিৎসা চলছিল, তখন আমি ব্রহ্মাস্ত্র আর শামশেরা-তে কাজ করছিলাম। এখন যখন ব্রহ্মাস্ত্র দেখি, আশ্চর্যজনক স্মৃতি মনে ভিড় করে আসে। সিনেমা দেখতে বসে মনে হয়, ‘ওহ! এই সময়ে, তিনি কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন বা তিনি ভেন্টিলেটরে ছিলেন… তবে এটা কাজে কীভাবে প্রভাব ফেলে তা মাত্র কয়েক বছরে বুঝতে পারব না। ’
রণবীরকে পরবর্তীতে তু ঝুটি ম্যায় মক্কার ছবিতে দেখা যাবে, যেখানে তিনি প্রথমবারের মতো শ্রদ্ধা কাপুরের বিপরীতে জুটি বেঁধেছেন। লাভ রঞ্জন রোমান্টিক কমেডি ১০ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
For all the latest entertainment News Click Here