মা ঐন্দ্রিলা নেই, অসুস্থ অভিনেত্রীর ছোট্ট তোজো, আদুরেকে ওষুধ পাঠিয়েছেন সব্যসাচী
অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা নেই। কিন্তু নিকটজনেদের কাছে রেখে গিয়েছেন অজস্র স্মৃতি। ঐন্দ্রিলার সবথেকে কাছের ছিলেন তাঁর দুই পোষ্য তোজো এবং বোজো। মাকে ছাড়া কেমন আছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ঐন্দ্রিলার ব্যবহৃত পোশাক জিনিসপত্র দিয়েই তাঁর দুই আদুরে পোশ্যকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছে পরিবার।
দুই পোষ্যকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন অভিনেত্রী। তাই ঐন্দ্রিলাকে কাছে না পেয়ে, মাঝেমধ্যেই মাকে অস্থির হয়ে খুঁজছে তোজো এবং বোজো। মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছে অভিনেত্রীর দুই সারমেয়। ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘কী করে ওর ছেলে দুটো ভালো থাকবে? ছোটটা… মানে তোজোর খুব শরীর খারাপ। কয়েকদিন আগে ওর ইউরিন দিয়ে ব্লিডিং হচ্ছিল।’
অভিনেত্রীর মা আরও জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলা পোষ্যদের কোন চিকিৎসক দেখাতেন তা তিনি জানেন না। তাই সব্যসাচী চৌধুরীকে একটা ওষুধের কথা বলে ছবি তুলে পাঠিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সব্যসাচী অনলাইনে ওষুধ পাঠিয়ে দিয়েছেন। এরপরই সেই ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয় তোজো।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে দীপিকার উজ্জ্বল উপস্থিতি, ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন নায়িকা?
শিখা দেবী জানিয়েছেন, রবিবার থেকে স্টুল দিয়ে ব্লিডিং হওয়ায় তোজোকে আবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, ভীষণ স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ও। অবলা প্রাণী। তোজোই (কালো পাগ) নাকি ঐন্দ্রিলার বেশি আদরের ছিল। তবে বোজো যেহেতু একটু বড় তাই ঘুরে বেড়ায়, সকলের সঙ্গে মিশছে। তবে তোজো একেবারেই কারও কাছে যায় না। ঐন্দ্রিলা ন্যাওটা ছিল সে। মা ছাড়া কিছুই চিনত না।
আবেগপ্রবণ হয়ে ঐন্দ্রিলার মা জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলা যেখানে ঘুমাত, সেখানেই ওরা দু’জন শুয়ে থাকে। প্রথমদিন ওই চাদরেই শুয়ে ছিল ওরা। একেবারে উঠত না খেত না। চাদর তুলে নতুন চাদর পাততেই দু’জনে আঁচড়ে চাদর ছিঁড়ে দেবে এমন অবস্থা। এরপরই পরিবারের সবাই বুঝতে পেরে আলমারি থেকে ঐন্দ্রিলার একটি জামা বের করে ওদের দিতেই, মায়ের গন্ধ পেয়ে শান্ত হয় তোজো-বোজো।
For all the latest entertainment News Click Here