‘মা একদিন অনেক কষ্ট করেছেন, বস্তিতে এক কামরায় থাকতেন’, বলছেন শ্বেতা কন্যা পলক
বহু অল্প বয়সেই অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছেন। তবে ‘কসৌটি জিন্দেগি কি’-‘প্রেরণা’ হিসাবেই তাঁকে চিনেছিল দর্শক। জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছলেন শ্বেতা তিওয়ারি। শ্বেতার বয়স এখন ৪২, চুটিয়ে কাজ করে চলেছেন। তবে নিজের জীবনে কিছু কম চড়াই-উৎরাই দেখেননি শ্বেতা। খারাপ-ভালো সবকিছুরই মুখোমুখি হয়েছেন। সম্প্রতি মায়ের জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন শ্বেতার মেয়ে পলক।
পলক তিওয়ারি বলেন, ‘আমার মা জীবনে সবটাই দেখেছেন, ভালো মন্দ সবটাই। ওঁর জীবনে সুন্দর একটা গ্রাফ রয়েছে। এমনও দিন গিয়েছে যখন মা বস্তিতে একটা কামরার ঘরে থাকতেন। ওই একটা ঘরেই আমার দিদা, দাদু, মা সকলেই থাকতেন। সেখান থেকেই আমার মায়ের জীবনের শুরু।’ কথাগুলি বলার পরেই পলক বলেন, ‘এসব শোনার পর বুঝতেই পারছেন, জীবনে সবকিছু সহজে আসে না। সকলেই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মান না। একদিন আমার দিদা-দাদু মাকে অনেক কিছু দিতে পারেননি। মা অনুভব করেছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও এই একই জীবন দিতে চাননা।’
আরও পড়ুন-দ্বিতীয় বিয়ের পর ফের অন্তঃসত্ত্বা মা, শুনে ঠিক কী অনুভূতি হয়েছিল ১৫ বছরের পলকের?
আরও পড়ুন-বিতর্কিত র্যাপার হানি সিংয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন? উত্তর দিলেন নুসরত…
প্রসঙ্গত, মাত্র ১৭ বছর বয়সে টেলি অভিনেতা রাজা চৌধুরীকে বিয়ে করেছিলেন শ্বেতা। ২০ বছর বয়সেই মা অভিনেত্রী। আর সেই সন্তানই হলেন পলক। তবে রাজা চৌধুরীর সঙ্গে শ্বেতার বিবাহিত জীবন সুখের ছিল না। বৈবাহিক ধর্ষণ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে রাজার সঙ্গে ৯ বছরের সংসার ভেঙে দেন শ্বেতা। মেয়ে পলককে একা হাতেই মানুষ করেন তিনি। পরবর্তী সময় ২০১৩ সালে অভিনব কোহলির সঙ্গে ফের ঘর বাঁধেন শ্বেতা। তবে সেই বিয়েও সুখের হয়নি তাঁর। গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে সেটিও ভেঙে যায়। এমনকি শ্বেতার দ্বিতীয় স্বামী প্রথমপক্ষের মেয়ে পলককেও নাকি কু-নজরে দেখতেন বলে অভিযোগ করেন অভিনেত্রী। দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান রেয়াংশকেও একা হাতেই বড় করছেন শ্বেতা।
যদিও পরবর্তী সময়ে প্রথম স্বামী রাজা চৌধুরীকেও শ্বেতার প্রশংসা করতে শোনা যায়। রাজা বলেছিলেন শ্বেতার দুটো বিয়ে ভেঙেছে, তার অর্থ এই নয়, ও খারাপ। ও একজন ভালো স্ত্রী ও মা।
For all the latest entertainment News Click Here