মাস্টারশেফ থেকে বাদ বাংলার প্রিয়াঙ্কা! পছন্দের প্রতিযোগিকে ‘তোল্লাই’? চর্চা জারি
ধীরে ধীরে ফাইনালের দিকে এগোচ্ছে মাস্টার শেফ ইন্ডিয়ার জার্নি। মাস্টারশেফের সপ্তম সিজনের গ্র্যান্ড ফাইনালের ঠিক আগে শো থেকে বাদ পড়লেন কলকাতার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা কুণ্ডু বিশ্বাস। প্রিয়াঙ্কার এলিমিনেশন ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল বিতর্ক। ফাইনালের অন্য়তম যোগ্য দাবিদার প্রিয়াঙ্কার শো থেকে বাদ পড়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নের মুখে শো-এর স্বচ্ছতা। বিচারক ও নির্মাতাদের গালিগালাজ পর্যন্ত করছেন নেটিজেনরা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিতর্কে রয়েছে এই শো। নির্দিষ্ট কিছু প্রতিযোগির প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছেন তিন বিচারক (রণবীর ব্রার, বিকাশ খান্না এবং গরিমা অরোরা) এমনটাই অভিযোগ। বিশেষত অরুণা বিজয় এবং কমলদীপ কৌরের প্রতি তিন বিচারকের অতিরিক্ত সমর্থন চোখ এড়ায় না কারুর। অরুণার ধর্মবিশ্বাসে যাতে আঘাত না আসে সেই জন্য দিন কয়েক আগে শো-এর নিয়ম পর্যন্ত বদলে ফেলেছেন তাঁরা। মাছের বদলে পনীর দিয়ে রান্নার অনুমতি দেওয়া হয় তাঁকে। অন্যদিকে ইমিউনিটি পিন চ্যালেঞ্জে প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে নামজাদা শেফকে দাঁড় করানো হয়েছে, যা আগে কখনও হয়নি।
চলতি সপ্তাহে ব্ল্য়াক-অ্যাপ্রন চ্যালেঞ্জে ছিলেন সচিন, সুবর্ণা, প্রিয়াঙ্কা এবং গুরকিরত। শেফ বিকাশ খান্না তাঁদের গ্রিল চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। অর্থাৎ গ্যাস বা ওভেন নয়, গ্রিলের মধ্যেই রান্না করতে হবে প্রতিযোগিদের। ‘চিংড়ি পাতুরি’ রান্না করে শো থেকে এলিমিনেট হলেন প্রিয়াঙ্কা। ফাইনালের আগে আবু ধাবি উড়ে গিয়েছিল মাস্টারশেফ টিম, সেখান থেকেই আর মাস্টার শেফ কিচেনে ফেরা হল না প্রিয়াঙ্কার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রোষের মুখে রণবীর ব্রার, বিকাশ খান্নারা। একজন লেখেন, ‘কেউ শুধু নিরামিষ খাবার রান্না করে মাস্টার শেফ হতে পারে না, অকারণে অরুণাকে তোল্লাই দেওয়া বন্ধ করুন। প্রিয়াঙ্কা সেরা ছিল আর থাকবে’। অপর একজন লেখেন, ‘দেখেই বোঝা যায় আপনারা স্বচ্ছ নয়, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে যা ঘটল তা ঠিক নয়। জঘন্য সিজন মাস্টারশেফের’। অনেকেই প্রাদেশিকতার কাঁটাতেও বিদ্ধ করেছেন শো-এর বিচারকদের। তিনজনেই পঞ্জাবি, তাই কমলদীপের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেন তাঁরা, এমন কথাও বলছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, টিকিট টু ফিনালে জিতে ইতিমধ্যেই মাস্টারশেফের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন পঞ্জাবের এই হোম কুক।
বাদ পড়ার পর প্রিয়াঙ্কার চোখের জল বাধ মানেনি। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি কোনওদিন ভাবিনি এতদূর আসব। এটা আমার সাত বছরের স্বপ্ন। আমি একবার ওই কিচেনে রান্না করতে চেয়েছিলাম… এই জার্নিটা অসাধারণ’। প্রিয়াঙ্কা মনে করাতে ভোলেননি, এই কিচেনে তিনি একমাত্র শেফ মানবের বিপরীতে রান্না করার সুযোগ পেয়েছেন।
For all the latest entertainment News Click Here