মালান-ব্রকের ক্যাচ ফেলে ইংরেজদের সিরিজ উপহার বাবরের, ক্ষোভে ফেটে পড়ল নেটপাড়া

পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের মধ্যে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং নিয়েছিল পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে ২০৯ রানের বড় ইনিংস গড়ে ইংল্যান্ড। তবে এই স্কোর তাড়া করতে নেমে ১৫০ রানের ইনিংস গড়তে পারেনি পাকিস্তান। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা করে মাত্র ১৪২ রান। আর এর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবর আজমের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন পাক সমর্থকেরা।

আরও পড়ুন: মওকা মওকা নয়, ভারত-পাক ম্যাচের WC অ্যাডে হারের যন্ত্রণা ভুলতে চায় শর্মাজিকা বেটা

ইনিংসের ১৬তম ওভারে হ্যারিস রাউফের তৃতীয় বলে ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুক মিড অফে একটি সহজ ক্যাচ তুলেছিলেন। কিন্তু বাবর আজম সেই সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। রাউফ এমন দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ হলেও মুখে কিছু না বলতে পেরে, যন্ত্রণায় মুখ ঢেকেই বসে পড়েন। সেই সময়ে ব্রুক ১৮ বলে ২৪ করেছিলেন। এর পরে আর ১১ বল খেলে মাত্র ২২ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ব্রুক ২৯ বলে ৪৬ করে অপরাজিত থাকেন।

তারও আগে ১২তম ওভারে ইফতিকার আহমেদের বলে ডেভিড মালানের ক্যাচ ফেলে দেন বাবর। তখন মালান ২০ বলে ৩০ রানে করেছিলেন। সেই মালানই ৪৭ বলে ৭৮ করে অপরাজিত থাকেন। এই ক্যাচ ২টিই ম্যাচের রং বদলে ব্রি

স্বাভাবিক ভাবেই ইংল্যান্ডের বড় স্কোর করার জন্য এবং ম্যাচ হারের জন্য বাবরের দিকেই আঙুল উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে পাক অধিনায়ককে। হারের দায়টা নিঃসন্দেহে সব দিক থেকেই অধিনায়ক বাবরের উপরই বর্তায়।

১৭ বছর পর পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে এসেছিল ইংল্যান্ড। ঐতিহাসিক এই সিরিজটাও হয়েছে মনে রাখার মতোই। লাহোরে সিরিজ নির্ধারক শেষ ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সকলের চোখ ছিল এই ঐতিহাসিক সিরিজের দিকে। করাচিতে চারটি ম্যাচ এবং লাহোরে প্রথম দু’টি ম্যাচের যা চরিত্র ছিল, তাতে সিরিজটিতে একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল দুই দলের। এবং সিরিজের ফল ছিল ৩-৩। সেখান থেকে শেষ ম্যাচটি অবশ্যই অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্স হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। আর সেই ম্যাচটি নেহাৎ-ই একতরফা হল। সেই সঙ্গে এই ম্যাচে আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল, পাকিস্তানের ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং-এর কঙ্কালসার চেহারাটা।

আরও পড়ুন: যা পেয়েছি, তাতেই খুশি- T20 WC-এ ভারতের সম্ভাব্য একাদশ নিয়ে মুখ খুললেন দ্রাবিড়

রবিবার ২ অক্টোবর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে ২০৯ রানের বড় স্কোর করে। ডেভিড মালান ৪৭ বলে ৭৮ করে অপরাজিত থাকেন। হ্যারি ব্রুক করেন ২৯ বলে অপরাজিত ৪৬ রান। এই জুটি চতুর্থ উইকেটে পাকিস্তানি বোলারদের দুমড়েমুচড়ে ৬১ বলে ১০৮ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ করে।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ইনিংসের শুরুতে ১২ রানের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান বাবর (৪) এবং রিজওয়ান (১)। এই অবস্থায় মিডল অর্ডারের ভালো পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু শান মাসুদের ৪৩ বলে ৫৬ রান ছাড়া বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। খুশদিল শাহের ২৭ এবং ইফতিকার আহমেদের ১৯ বাদ দিলে বাকিরা দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছতে পারেননি। যার নিটফল, নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান করে ১৪২ রান। ফলে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে ৬৭ রানে হেরে বসে বাবররা। সিরিজও তারা ৩-৪ হারে।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.