মা’র সোনার চেন বন্ধকের টাকায় কেনা ব্যাটে রানের ফুলঝুরি, তা ছাড়াতে মরিয়া সাকিবুল
বিহারের রঞ্জি টিমে সুযোগ পাওয়ার পর সাকিবুল গনিকে তিনটি ক্রিকেট ব্যাট কিনে দেওয়ার জন্য নিজের সোনার চেন বন্ধক রাখেন তাঁর মা আসমা খাতুন। আর সেই ব্যাট দিয়েই রানের ফুলঝুরি করেন সাকিবুল।
তবে একটা আফসোস সাকিবুলের রয়েই গিয়েছে। মায়ের সোনার চেন বন্ধক রাখতে হয়েছে বলে। তিনি এখন শুধু নিজের পারিশ্রমিকের টাকার অপেক্ষায় রয়েছেন। যে টাকা দিয়েই মায়ের বন্ধক রাখা চেন ফিরিয়ে আনতে চাইছেন সাকিবুল। তিনি বলেওছেন, ‘এই সোনার চেন পুনরুদ্ধার করা আমার মাথায় রয়েছে। আমার পারিশ্রমিকের জন্য শুধু অপেক্ষা করছি…’।
তিন বোন এবং তিন ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সাকিবুল গনি। তাঁর বাবা মহম্মদ মান্নান গনি একটি ক্রীড়া সামগ্রীর দোকান চালান। তবে সব কিছুর মাঝে ছেলের ক্রিকেটের পাশে রয়েছে পুরো পরিবারই। গনির সাফল্যের পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে তাঁর ভাই এবং পরামর্শদাতা ফয়সাল গনির। এমনটা তরুণ ক্রিকেটার নিজে দাবি করেছেন। ফয়সাল একটি ক্রিকেট কোচিং অ্যাকাডেমী চালান। সাকিবুল গনি বলেছেন, ‘আমি কখনও-ই আমার ক্রিকেটিং দক্ষতা বাড়াতে বড় জায়গায় যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করিনি। আনন্দ করে যে খেলাটা শুরু করেছিলাম, যখন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি, তখন ক্রিকেট খেলাটি আমার অস্তিত্বের একটি কারণ হয়ে ওঠে।’
প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগের বড় ভক্ত সাকিবুল গনি। সেহওয়াগের মতোই তিনি খেলে যেতে যান। রঞ্জির শুরুটাও কিন্তু ধামাকাদার পারফরম্যান্স দিয়ে করেছেন। যেমন ধামাকা ২২ গজে দেখাতেন বীরুও।
ফেব্রুয়ারিতে মিজোরামের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির অভিষেক ম্যাচে ট্রিপল সেঞ্চুরি করে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন গনি। তার পর থেকেই সকলের নজরে পড়েন। এমন কী তাঁর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে সচিন তেন্ডুলকরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। অবশ্য অভিষেক ম্যাচের পরেই সাকিবুল গনি কিন্তু বেশ ভালো খেলেছেন। ভবিষ্যতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন এই ক্রিকেটার।
For all the latest Sports News Click Here