‘মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে হেলাফেলা করেছে’, বিতর্কের জবাব ‘আতরঙ্গি রে’ কাহিনিকারের
দিন কয়েক আগেই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক আনন্দ এল রাইয়ের আতরঙ্গি রে। ছবিতে লিড রোলে অভিনয় করেছেন সারা আলি খান, ধনুশ এবং অক্ষয় কুমার। দর্শক এবং সমালোচকদের থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে এই ছবি। নেটিজেনদের একটা অংশ এই ছবি চুটিয়ে এনজয় করেছে, আবার কারু কারু মতে, এই ছবিতে ‘মানিসক স্বাস্থ্যের বিষয়টা তুচ্ছ করে দেখানো হয়েছে’। এই বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুললেন ছবির কাহিনিকার হিমাংশু শর্মা।
জাতীয় পুরস্কার জয়ী এই কাহিনিকার তথা চিত্রনাট্যকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘আমি এই গল্পটা এবং এই ভাবনাটা বেছেছি। আমি মেন্টাল ইলনেস নিয়ে কোনও ডকুমেন্ট্রি বানাচ্ছিলাম না। মানুষের শরীরের গঠনতন্ত্র বুঝতে পারা মানে এই নয়, তুমি সেই মানুষটাকে বুঝবে। একটা ছবির মধ্যে অনেক কিছু থাকে, আতরঙ্গি রে তেমনই বলে ভালোবাসার কথা. বিচ্ছেদের কথা, ট্রমার কথা এবং কেমনভাবে সেই ট্রমা বা মানসিক ধাক্কাটা তোমার জন্য অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং একমাত্র ভালোবাসাই সেই সমস্যার সমাধান খুঁজে দিতে পারে’।
তিনি আরও বলেন, আদতে মানসিক স্বাস্থ্যটা এই ছবির গল্পের একটা অংশ মাত্র, এর মাধ্যমে আমি আরও গভীর বিষয় বোঝাতে চেয়েছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে মানিসক স্বাস্থ্যের বিষয়টা তুচ্ছ করে দেখাতে চেয়েছি বা সেটা নিয়ে ভুল বার্তা দিতে চেয়েছি। দয়া করে আমার ছবির চরিত্র গুলোকে দেখুন। ধনুশের বিষ্ণু চরিত্রটি বা ওর বন্ধু মধু (আশিস বর্মা) ওরা সকলেই খুব সহমর্মিতা দেখিয়েছে মেয়েটার উপর। ছবির ভিতরের অন্তর্নিহিত অর্থগুলো বোঝবার চেষ্টা করাটা জরুরি’।
আতরঙ্গি শব্দের অর্থ হল অদ্ভূত, আর এই ছবিতে তেমনই এক অদ্ভূত মেয়ে রিঙ্কু সূর্যবংশীর কাহিনি উঠে এসেছে। ছোটবেলায় বাবা-মা’কে চোখের সামনে খুন হতে দেখা রিঙ্কু গভীরভাবে মানসিক ধাক্কা হয়। এরপর থেকে সে কল্পনার একটা জগত তৈরি করে। সে বিশ্বাস করে সাজ্জাদ নামের একজনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। সেই কাল্পনিক প্রেমিকের সঙ্গে ২১ বার বাড়ি থেকে পালিয়েছে সে। অবশেষে পরিবারের লোক বিষ্ণু (ধনুশ)- কে ধরে এনে বিয়ে দেয় রিঙ্কুর সঙ্গে। পেশায় চিকিত্সক ধনুশ ধীরে ধীরে বুঝতে পারে তাঁর স্ত্রীর মানসিক সমস্যার কথা। এরপর সে এবং তাঁর অপর চিকিত্সক বন্ধু মধুসূদন শুরু করে রিঙ্কুর চিকিত্সা।
অবশেষে নিজের পরিস্থিতির কথা বুঝতে পারে রিঙ্কু, সাজ্জাতের কোনও অস্তিত্বই নেই একথা উপলব্ধি করে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। কিন্তু গোটা বিষয়টা ছবিতে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে তা নিয়েই আপত্তি রয়েছে অনেকের। মানসিক স্বাস্থ্যের মতো সংবেদনশীল বিষয়কে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে এখানে তুলে ধরা হয়নি এমনই অভিযোগ বিদ্ধ টিম ‘আতরঙ্গি রে’।
For all the latest entertainment News Click Here