মানকাডিং নিয়ে বিভক্ত ইংরেজরা, ভারতকে জ্ঞান KKR তারকার, দীপ্তিকে সমর্থন হেলসের
দীপ্তি শর্মার মানকাডিং নিয়ে বিভক্ত হয়ে গেলেন ইংরেজ খেলোয়াড়রা। একদিকে স্যাম বিলিংস যখন স্পিরিটের বুলি আওড়ালেন, তখন অ্যালেক্স হেলস রীতিমতো কড়া ভাষায় বললেন, ‘ক্রিজে থাকা মোটেও শক্ত কাজ নয়’।
শনিবার লর্ডসের মানকাডিংয়ের (যা এখন রান-আউট হিসেবে বিবেচনা করা হয়) ঘটনার পর হইচই শুরু করেছেন ইংরেজরা। টুইটারে স্পিরিটের বুলি আওড়াতে ছাড়েননি কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ইংরেজ তারকা বিলিংস। ভারতকে নীতিশিক্ষার পাঠ পড়ানোর চেষ্টা করেন ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটার।
টুইটারে বিলিংস বলেন, ‘যে ব্যক্তি এই খেলাটা খেলেছেন, তাঁদের কেউ এই বিষয়টা গ্রহণযোগ্য বলে নিশ্চয়ই মনে করেন না। এটা ক্রিকেট নয়। আইনের মধ্যে আছে। কিন্তু স্পিরিটের দিক থেকে ঠিক নয়। আমার মতে, আইন পরিবর্তন করে সতর্ক করে দেওয়া বা ক্রিজ ছেড়ে বেশি এগিয়ে আসার মতো বিষয় চালু করা যেতে পারে। তবে এটা বলতেই পারি যে কেউ কেউ সেই নিষয়ে একমত হবেন না।’ তবে সেখানেই থামেননি বিলিংস। দীপ্তির বোলিংয়ের একটি দৃশ্য পোস্ট করে কেকেআর তারকা বলেন, ‘ডেলিভারির সময় অন্যদিকেও তাকাননি (ব্যাটার)।’
আরও পড়ুন: Deepti Sharma Mankading: লর্ডসে মানকাডিংয়ের সাহস বাংলার দীপ্তির! ঝুলনের শেষ ম্যাচে লজ্জাজনক, বলছেন নাসের
বিলিংসের সেই পোস্টে পালটা দেন হেলস। যে ইংরেজ তারকাকে ২০২২ সালের মেগা নিলামে দলে নিয়েছিল কেকেআর। যদিও পরে আইপিএল থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন। সেই হেলস শনিবার দীপ্তির পাশে দাঁড়িয়ে স্পষ্টভাবে বলেন, ‘বল হাত থেকে বেরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত নন-স্ট্রাইকারদের পক্ষে ক্রিজের ভিতরে থাকার বিষয়টা কঠিন হওয়ার কথা নয়।’
ঠিক কী করেছিলেন দীপ্তি?
শনিবার লর্ডসে তৃতীয় একদিনের ম্যাচটা একেবারে হাড্ডাহাড্ডি হচ্ছিল। শেষ সাত ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৮ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। ৪৩.৩ ওভারে ইংরেজ ব্যাটার চার্লি ডিনকে মানকাডিং করেন দীপ্তি। তৃতীয় আম্পায়ার পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর আউট দেন। ১৬ রানে জিতে যায় ভারত। তারপরই হইচই শুরু করেন প্রাক্তন-বর্তমান ক্রিকেটারদের একাংশ।
আরও পড়ুন: মানকাডিং নিয়ে প্রশ্ন করতেই সপাটে ব্যাট চালালেন হরমনপ্রীত, ব্রিটিশ প্রেজেন্টারকে দিলেন মোক্ষম জবাব: ভিডিয়ো
যদিও তাঁদের পালটা দিয়েছেন ভারতীয় নেটিজেনরা। তাঁরা বলেন, মেরলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) আইনের ৪১.১৬.১ ধারায় পরিষ্কার বলা আছে, মানকাডিং (যদিও ওই শব্দটা ব্যবহার করা হয়নি, রান-আউট বলা হয়েছে) বৈধ। সেইসঙ্গে কেউ কেউ খোঁচা দেন, আইনসিদ্ধ বিষয় নিয়ে লাফালাফি করছেন ইংরেজরা। অথচ আম্পায়ারের ‘ভুলে’ যখন বিশ্বকাপ জিতেছে, তখন স্পিরিট কোথায় ছিল? কিংবা বাউন্ডারির সংখ্যার ভিত্তিতে যখন নিউজিল্যান্ড হেরে গিয়েছিল, তখন স্পিরিট কি টেমসের জলে ডুবে গিয়েছিল?
For all the latest Sports News Click Here