মহিলা সহকারীর সঙ্গে রেখার লিভ ইন নিয়ে চর্চা, জীবনীকারের সাফাই- ‘যৌন সম্পর্কের…’
বলিউডের চিরযৌবনা তিনি। দু-বছর পরেই সত্তর পূর্ণ করবেন তবুও তাঁর রূপের জাদুতে আজও মুগ্ধ আসমুদ্র হিমাচল। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে রহস্যের শেষ নেই। কথা হচ্ছে রেখার। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর চর্চিত প্রেম, ব্যবসায়ী মুকেশ আগারওয়ালের সঙ্গে বিয়ে, বিয়ের সাত মাস পর স্বামীর আত্মহত্যা–নায়িকার ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় এসেছে বারবার। রেখা জীবনের সব উঠা-পড়ার সাক্ষী তাঁর অভিন্ন হৃদয় বন্ধু, তাঁর সহকারী ফরজানা।
স্বামীর মৃত্যুর পর কার জন্য সিঁথি সিঁদুরে রাঙান রেখা? এই প্রশ্নও উঁকি দিয়েছে বারবার। সম্প্রতি রেখার সঙ্গে তাঁর সেক্রেটারি ফারজানার সম্পর্ক নিয়ে নানান আলোচনা সংবাদমাধ্যমে। নেপথ্যে বছর কয়েক আগে প্রকাশিত রেখার জীবনী ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’। ইয়াসের উসমানের লেখা বইটিতে উঠে এসেছে নায়িকার জীবনের একাধিক অজানা তথ্য।
প্রতি মুহূর্তে রেখাকে আগলে রাখেন ফরজানা, এ কথা কারুর অজানা নয়। ফরজানাকে টপকে রেখার কাছে পৌঁছানো অসম্ভব। অভিনেত্রীর সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে আপন মানুষ ফরজানা। ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’র ২৮ নম্বর চ্যাপ্টার জুড়ে রয়েছেন তিনি। যার শুরুতেই অনিল শর্মার বক্তব্য ধার করে বলা হয়েছে, ‘স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক রেখা ও ফরজানার’। কেরিয়ারের শুরুর দিন থেকেই ফরজানা রেখার ছায়াসঙ্গী। অভিনেত্রীর জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ স্থির করেন ফরজানা। ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ উল্লেখ রয়েছে, রেখার বেডরুমে নাকি পরিচারিকাদেরও ঢোকবার অনুমতি নেই, সেখানে একমাত্র অবাধ বিচরণ ফরজানার। তিনি, ‘রেখার পারফেক্ট পার্টনার, সর্বক্ষণের সঙ্গী, পরামর্শদাতা, বন্ধু এবং অনুরাগী। রেখা তাঁকে ছাড়া বাঁচতেই পারবেন না।’
লেখিকা মালবিকা সাংভির কথায়, ফারজানার মধ্য়ে অমিতাভ বচ্চনের ছাপ রয়েছে। অমিতাভের আদলেই সাজগোজ ফরজানার। এক ঘটনার কথা স্মরণ করে মালবিকা বলেন, এক অনুষ্ঠান বাড়িতে রেখা খেতে অস্বীকার করেছিলেন কারণ ফরজানার খাওয়া হয়নি। সিমি গেরেওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি বই পড়তে অভ্যস্ত নন। তবে ফরজানা তাঁকে বই পড়ে শোনান।
রেখা বাইসেক্সুয়াল, ফরজানার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে এ কথা রটেছিল রেখার স্বামী মুকেশ আগারওয়ালের আত্মহত্যার ঘটনার পরে। যদিও নায়িকা এই চর্চাকে ‘অসুস্থ মস্তিষ্কের কল্পনা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন, সে কথাও লেখা রয়েছে ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’তে।
এই বই নিয়ে যখন চর্চা চারিদিকে তখনই গোটা বিষয় নিয়ে সাফাই দিলেন রেখার জীবনীকার ইয়াসের উসমান। তিনি এদিন টুইটারে বিবৃতি দেন। লেখেন- ‘আমার বইয়ের কথা উল্লেখ করে রেখার যে লিভ ইন রিলেশনশিপ নিয়ে লেখালেখি সংবাদমাধ্যমে চলছে, যা পুরোপুরি ভুয়ো, বিভ্রান্তিমূলক, মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ, সেনসেশন তৈরির চেষ্টা চলছে এক কথায়। মিডিয়াতে যে সকল উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হচ্ছে তা আমার বইতে উল্লেখ করা হয়নি’। তিনি আরও যোগ করে, ‘গোটা বইয়ের কোনও অংশ লিভ ইন রিলেশনশিপ এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হয়নি।…. কোথাউ লেখা হয়নি দুজনের মধ্যে যৌন সম্পর্ক রয়েছে।’ রেখার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সংবাদমাধ্যমের এই কাটাছেঁড়ায় বিরক্ত লেখক, সেখানে তাঁর নাম জড়ানোয় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপের হুমকি দেন তিনি।
For all the latest entertainment News Click Here