মহালয়া থেকেই যা দেখছি! মনে হয় পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্তই ঠিক: ঊষসী
কিছু দিন আগেই ওয়েব সিরিজের শ্যুট শেষ করেছেন। আপাতত নতুন কাজের লুক সেটের ব্যস্ততা। দম ফেলার ফুরসৎ নেই! তবে পুজোর চারটে দিন বরাদ্দ থাকবে নিজের জন্য। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে তেমনই জানালেন ঊষসী রায়।
পুজোয় রাজ্যের বাইরে থাকবেন ঊষসী। বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাবেন পাহাড়ের কোলে। আপাতত তারই গোছগাছ চলছে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘২০১৯ সালে আমি শেষ বেড়াতে গিয়েছি। কোভিডের কারণে মাঝের দুটো বছর কোত্থাও যাওয়া হয়নি। এ বার যখন সুযোগ পেলাম, তখন ঘুরেই আসি।’
কলকাতার পুজো মানেই শহর জুড়ে ঢাকের আওয়াজ, চোখ ধাঁধানো মণ্ডপসজ্জা, রাস্তার দু’ধার জুড়ে তেলেভাজার স্টল আর ঠাকুর দেখার ধুম! ওই চারটে দিন মনে পড়বে না শহর কলকাতার কথা? ঊষসীর স্পষ্ট উত্তর, ‘একদম মনে পড়বে না বললে ভুল হবে। আমি তো পঞ্চমী পর্যন্ত থাকব। মহালয়া থেকেই যা দেখছি, মনে হচ্ছে, ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিকই করেছি। পুজোতে কলকাতায় যেমন আনন্দ হয়, তেমনই এত ভিড়, যানজটের কারণে অনেক অসুবিধার মুখেও পড়তে হয়। দু’বছর তো এখানেই থাকলাম। এ বার একটু পাহাড়ে যাই।’
আর কেনাকাটা? সেটাও কি ব্রাত্য? হেসে উঠে ঊষসী বললেন, ‘সারা বছর ধরেই আমি প্রচুর কেনাকাটা করি। পুজোয় তাই আলাদা করে কিছু কিনতে হয় না। তবে পাহাড়ে যাওয়ার জন্য খুঁটিনাটি কিছু জিনিস প্রয়োজন। সেগুলো কিনেছি।’
(আরও পড়ুন: ‘হইচই’য়ে আসছে বড়সড় ধামাকা, এক ওয়েব সিরিজে তৃণা, ঊষসী, স্বস্তিকা, অনন্যা!)
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত পুজোয় ঊষসীর গন্তব্য ছিল তাঁর দেশের বাড়ি। উৎসবের দিনগুলো কাটত পারিবারের সঙ্গেই। তাই পুজোর প্রেমটাই নাকি আর হয়ে ওঠেনি। তাঁর কথায়, ‘কলেজে উঠেও আমি মা-বাবার সঙ্গে দেশের বাড়ি যেতাম। সেকেন্ড ইয়ারে জেদ করে বন্ধুদের সঙ্গে কলকাতায় ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম। তখন ওই চোখাচোখিটুকুই হয়েছিল। এর বেশি আর কিছু এগয়নি।’
(আরও পড়ুন: ‘প্রেমের গুজব রটছে বলে একসঙ্গে কাজ করব না?’ নিখিল প্রসঙ্গে ঊষসী)
পঞ্চমী পর্যন্ত শহরে থাকছেন ঊষসী। তার পরেই হারিয়ে যাওয়ার পালা। ফিরে এসে ফের সেই ব্যস্ততা। তবে পুজোর ক’টা দিন বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আনন্দ করবেন পর্দার কাদম্বীনি।
For all the latest entertainment News Click Here