মহালয়ায় মীরের কন্ঠে চণ্ডীপাঠ শোনবার কাতর আর্তি ভক্তের, কী জবাব দিলেন সকালম্যান?
মহালয়ার ভোর মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। মহালয়া মানেই তো ঢাকে কাঠি পড়ে যাওয়া, আকাশে-বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। আর বাঙালির এই বিশেষ দিনেই মীরের কাছে বিশেষ আবদার এল এক অনুরাগীর তরফে। মীরের কন্ঠে চণ্ডীপাঠ শোনার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন জনৈক। ফেসবুকে ফ্যানের কাছ থেকে এমন অনুরোধ পেয়ে হতবাক মীর। সোশ্যাল মিডিয়াতে পালটা জবাবও দেন ‘সকালম্যান’।
তুষার সেনগুপ্ত নামের ওই জনৈক মীরকে ট্যাগ করে ফেসবুকে ‘ভয়’ নিয়েই লেখেন, ‘বলতে ভীষণ ভয় করছে। জানি এটা শুনলেই নস্টালজিয়ায় ভোগা পাবলিক হারেরের করে তেড়ে আসবে। হয়তো হিন্দুভীর’রা ভর্চুয়াল ত্রিশূলের খোঁচা মারবে। তবুও মনের কথাটা একবার অন্তত না বলে পারছি না। যাদের অনুভূতি আহত হবে তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। তবুও বলতেই হচ্ছে-মীর আফসার আলির ভরাট কণ্ঠে ইমোশন অ্যাক্টিং সব আছে। ওঁর কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শোনার ইচ্ছে রইল। উনি একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।’
এই পোস্ট নজর এড়ায়নি মীরের। তিনি সেটি শেয়ার করে লেখেন- ‘ধৃষ্টতা নেই আমার। মার্জনা করবেন, তবে আপনি যে আমায় নিয়ে এটা ভেবেছেন সেটাই বড় প্রাপ্তি আমার কাছে।’ শুরুটা তুষারবাবু করলেও এরপর একাধিক মীর ভক্ত এমন আবদার রেখেছেন এই সঞ্চালক-অভিনেতার কাছে। সকলের দাবি শিল্পীর কোনও ধর্ম হয় না, তাঁরাও ‘তুষার সেনগুপ্তর দলে’ এমনটা লিখেছেন অনেকেই।
উল্লেখ্য, বছর-কয়েক আগে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং-এর শিকার হয়েছিল মীর। তাঁর ধর্ম নিয়ে খোঁচা দিয়ে আক্রমণ করে নেটপাড়ার একাংশ। ফেজ টুপি মাথায় পরে পালটা জবাবও দিয়েছিলেন মীর। লিখেছিলেন- ‘যে কয় মোরে …র পোলা/ তারে বুকেই জড়িয়ে ধরি/ … যে মায়ের জাত / তারে সমান সজদা করি / ধর্ম বিভেদ ভরাবে কি পেট / শুধায় আপনজনে/ যাহা মসজিদ, তাহাই মন্দির/ ভক্তি রবে মনে/ আজানের ডাকে নামাবলী পরি/ আবেগ মানবরূপী/ যে শিরে বরিষে গঙ্গার জল/ সেই মাথাই ঢাকে’।
তাই আজও ফলাও করে ফেসবুকে মহালয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। কারণ তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, ভারত সর্বধর্মসমন্বয়ের দেশ।
For all the latest entertainment News Click Here