‘মন ছাড়া শরীর পাওয়া…’, জোর করে শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টায় বর, প্রতিবাদী শিমুল
টিআরপি তালিকায় সেরা দশে জায়গা এখনও পায়নি মানালির ‘কার কাছে কই মনের কথা’, কিন্তু জমে উঠেছে এই মেগার গল্প। গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় জোর চর্চা জি বাংলার এই সিরিয়ালকে ঘিরে। সৌজন্যে শিমুলের ফুলসজ্জার দৃশ্য, যেখানে ফুলসজ্জার খাটে মা-কে জড়িয়ে শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে শিমুলের বরকে। সেই নিয়ে তর্ক-সমালোচনার শেষ নেই। অনেকেই নির্মাতাদের সমালোচনা করেছেন, তবে একাংশের মত বাস্তব জীবনেও অনেক বউমাকে শাশুড়ির এহেন আচরণ সহ্য করতে হয়। হয়ত এই দৃশ্য খানিক অতিরঞ্জিত, তবে এমন ‘মা সোহাগি ছেলে’ আর ‘কুচুটে শাশুড়ি’ বাস্তবেও বিদ্যমান।
ফুলসজ্জার রাত শরীর খারাপের বাহানা করে নষ্ট করায় শাশুড়ির উপর বীতশ্রদ্ধ শিমুল। এর মাঝেই অষ্টমঙ্গলায় তাঁর বাপের বাড়ি আসাতেও বাধ সাধতে চায় শাশুড়ি, তবে প্রতিবাদী শিমুল কারুর তোয়াক্কা না করেই জানায়- চাইলে পরাগ মায়ের কাছে থাকতে পারে, তবে সে বাপের বাড়ি যাবেই। নিজের বাড়ি পরাগকে নিয়ে এসে আরেক ঝামেলা। শিমুলের বন্ধুরা পরাগের কাছে আবদার করে সিনেমা দেখতে যাওয়ার কিন্তু কিপটে আর রসকসহীন পরাগ তাতে রাজি নয়। বন্ধুরদের সামনে নিজের সম্মান রক্ষা করতে মরিয়া শিমুল অবশেষে নিজে ৫ হাজার টাকা বরের হাতে দিয়ে সিনেমা দেখতে যেতে রাজি করায় তাঁকে। তবে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নয় সে।
রাতের বেলা দেরি করে ঘরে আসে সে। বউয়ের অপেক্ষা করে মেজাজ সপ্তমে পরাগের। ঘরে ঢুকে শিমুলের কথায় আরও বিরক্ত হয় সে। শিমুল স্পষ্ট জানায়, ‘কাল যেমন তোমার মা আমাদের ফুলসজ্জার রাতটা নষ্ট করেছিলেন, আজ আমি তোমার অপেক্ষার রাতটা নষ্ট করে দিলাম’। শাশুড়ি অসুস্থ ছিল এমনটা মানতে না-রাজ সে। এরপর ঘুমিয়ে পড়ার তোড়জোড় করলে পরাগ শরীরিক ঘনিষ্ঠতা তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ করে, তাতে শিমুলের সাফ কথা- ‘মন ছাড়া শরীর পাওয়া যায় না… আর তুমি যা অসভ্যতাটা করে চলেছো এরপর আস্তে আস্তে আমার মনটাই মরে গেছে। এরপর না পাবে আমার মন, না পাবে আমার শরীর’। স্বামী হওয়ার অধিকার জাহির করে জোরজবরদস্তির চেষ্টা করলে শিমুল সাফ জানায়, চাইলে পরাগ তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে পারবে না। গতকাল তাঁর ‘পুরুষ সিংহ’ রূপ আর ‘তৃষ্ণা’ কোথায় ছিল? জানতে চায় শিমুল। অধিকার ফলাবে অথচ দায়িত্ব নেবে না, স্বামীর এহেন আচরণ মোটেই মেনে নেবে না শিমুল, জানায় সে। বলে দেয়- ‘তুমি আমার সঙ্গে যেমন ব্যবহার করবে, আমিও সেই ব্যবহার ফিরিয়ে দেব’। স্বামীর ভদ্রতার মুখোশ খুলে যাওয়ায় মন ভেঙে যায় শিমুলের, এরপরেও পরাগ স্ত্রীর অতীত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যা স্বামীকে নিয়ে আরও তিক্ততা বাড়িয়ে দেয় শিমুলের মনে। আগামিতে কোন খাতে বইবে দুজনের দাম্পত্য? সেই নিয়ে তুমুল আগ্রহ দর্শকদের মনে।
For all the latest entertainment News Click Here