‘মন্দির ভাঙতে বলেছিলেন জাভেদ আখতারের প্রপিতামহ’, তীব্র প্রতিবাদ জাভেদ-শাবানার

সরকারি বিরোধী অবস্থানের জন্য হামেশাই বিতর্কে নাম জড়ায় জাভেদ আখতার ও তাঁর পরিবারের। ফের একবার কাঠগড়ায় এই বর্ষীয়ান কবি তথা গীতিকার। সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং-এর কড়া জবাবও দিলেন জাভেদ-শাবানা। ঘটনার সূত্রপাত্র বর্তমানে দেশের অন্যতম জ্বলন্ত ইস্যু, বুল্লি বাই অ্যাপ (Bulli Bai App) বিতর্ক। 

‘বুল্লি বাই’ ইস্যুতে তোলপাড় দেশ। এই অ্যাপে প্রচুর মুসলিম মহিলাকে ‘নিলামের’ জন্য নথিভুক্ত করা হয়। ব্যবহার করা হয় তাঁদের ছবি। এই বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টার্গেট করেন জাভেদ আখতার। এক বছরের মধ্যে দু-বার এই ধরণের ঘটনা ঘটল বলে উল্লেখ করেন জাভেদ আখতার, এরপর পরেও কেন এই বিষয় নিয়ে চুপ মোদীজি? প্রশ্ন আখতারের। এই ব্যাপারে গত মাসে হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত ‘ধর্ম সংসদ’ প্রসঙ্গও টেনে আনেন ৭৬ বছর বয়সী গীতিকার। সেখানে মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন সাধুরা। যার জেরে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় রোষের মুখে পড়েন জাভেদ আখতার। অহেতুক হরিদ্বারের ‘ধর্ম সংসদ’ বিতর্ক এখানে টেনে আনছেন জাভেদ আখতার দাবি তোলে নেটিজেনদের একাংশ। কেউ কেউ আবার জাভেদ আখতারকে তুলোধনা করতেও ছাড়েননি। 




প্রতিবাদী শাবানা
প্রতিবাদী শাবানা

এক জনৈক দাবি করেন, জাভেদ আখতারের প্রপিতামহ মন্দির ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হু  হু করে ছড়িয়ে পড়ে সেই টুইট। সেখানে বলা হয়েছে, জাভেদ আখতারের প্রপিতামহ মৌলানা ফজলে হক খৈরাবাদি ফতেয়া ১৮৫৫ সালে জারি করেছিলেন হনুমান গারি মন্দির ভেঙে ফেলতে। এবং ব্রিটিশরা সেই মন্দির রক্ষা করে। এই টুইটের জবাবে প্রতিবাদী শাবানা সোমবার গভীর রাতে লেখেন, ‘এটা পুরোপুরি মিথ্যা। ফজলে হক একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন, তাঁর কালাপানির সাজা হয়েছিল। উনি আন্দামানেই মৃত্যুবরণ করেন, ওখানে আজও তাঁর সমাধি রয়েছে যেখানে উল্লেখ করা রয়েছে উনি নায়ক ছিলেন। ওঁনার সম্পর্কে আরও বেশি জানতে ‘বাগি হিন্দুস্তান’ পড়ে দেখতে পারেন’। 

চুপ থাকেননি জাভেদ আখতারও। তাঁর পূর্বপুরুষের উপর ওঠা অভিযোগ নস্যাত্ করে বর্ষীয়ান কবি জানান, ‘আমি যখনই সুর চড়ালাম অনলাইনে মেয়েদের নিলাম করার বিরুদ্ধে, যাঁরা গডসেকে গৌরবান্বিত করেন, গণহত্যা নিয়ে উল্লাস করেন, তেমনই ধর্মান্ধ এক আমাদের মহান প্রপিতামহকে গালিগালাজ করা শুরু করেছে, যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন এবং ১৮৬৪ সালে কালাপানির সাজ কাটতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এইসব ইডিয়েটদের কী বলা উচিত?’

ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে বুল্লি বাই অ্যাপ ব্লক করা হলেও থামছে না বিতর্কের আঁচ। শুধু জাভেদ আখতারই নন, এই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁর পুত্র ফারহান আখতার, স্বরা ভাস্কর, রিচা চড্ডা, শ্রুতি শেঠের মতো বলিউড ব্যক্তিত্বরাও। 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.