মতাদর্শ আলাদা তবু অটুট বন্ধুত্ব, এক ফ্রেমে আবার মনোজ তিওয়ারি ও অশোক দিন্দা
আবার এক ফ্রেমে মনোজ তিওয়ারি ও অশোক দিন্দা । বাংলার হয়ে একসঙ্গে বাইশ গজের বহু ম্যাচ খেলেছেন। দলকে জিতিয়েছেন। বহু সুখ দুঃখ, জয়-হারের সাক্ষী থেকেছেন। ক্রিকেট মাঠের সেই দুই সহযোদ্ধাই পরে রাজনীতির ময়দানে একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়েছিলেন। মাঠের অভিন্ন হৃদয়ের বন্ধু। একজন নাম লেখান তৃণমূল কংগ্রেসে তো অন্যজন বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। তবে রাজনীতির মত দর্শন আলাদা হলেও তারা যে আজও বন্ধু তা প্রমাণ হল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে। দুর্গাপুজোয় রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে তারা আবার একসঙ্গে সময় কাটালেন। ধরা পড়ল বিরল সৌভ্রাতৃত্বের ছবি।
ক্রিকেট মাঠের বাইরেও অবশ্য দুজনের পারিবারিক বন্ধুত্ব অটুট। রাজনীতি সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি।দুই ক্রিকেটারের পারিবারিক বন্ধুত্বও রয়েছে। মনোজ ও তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা এবং দিন্দা ও তাঁর স্ত্রী শ্রেয়সী মিলে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। একে অপরের জন্মদিন সেলিব্রেশন হোক বা কোনও অনুষ্ঠান, দুই পরিবারকে এক ফ্রেমেই দেখা যেত। মনোজ ও দিন্দা দুজনই থাকেন বাইপাসের ধারের একটি অভিজাত আবাসনে।
বিরল সেই সৌজন্যের ছবি এখনও অটুট। দুর্গাপুজোয় দুই ক্রিকেটার একসঙ্গে আবাসনের পুজোয় সময় কাটালেন। ভোগ খেলেন। দুই তারকার স্ত্রী সুস্মিতা ও শ্রেয়সীও একসঙ্গে সময় কাটালেন। সন্ধি পুজোও দেখেন দুজনে। মনোজ ও দিন্দা দুজনই জানিয়েছিলেন, রাজনীতিতে নাম লেখানো মানুষের পাশে থাকার উদ্দেশ্যে। সেখানে ব্যক্তিগত বৈরিতার জায়গাই নেই। দুজনই জানিয়েছিলেন যে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, একে অপরের বিরুদ্ধে একটি শব্দও খরচ করবেন না। বিধানসভা ভোটে শিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন মনোজ। আর ময়নার বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন দিন্দা। ভোটে জেতার পর মনোজ রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। আর দিন্দা হয়ে ওঠেন বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ। তবু বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে।
For all the latest Sports News Click Here