‘মটন-ভাত গোগ্রাসে খেতেন’, সেই কোহলির ভোলবদল দেখে অবাক হয়েছিলেন সতীর্থরা
ফিটনেস সম্পর্কে মারাত্মক সচেতন এখনকার বিরাট কোহলি। দেখে কে বলবেন, তিনি একটা সময়ে রীতিমতো ভোজনরসিক ছিলেন। ভালো খাবারের সন্ধান পেলে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে চলে যেতেন। মটন-ভাত পেলে তো কোথাই নেই। গোগ্রাসে খেয়ে ফেলতেন। যে ছেলেটা একটা সময়ে জাঙ্ক ফুডের জন্য পাগল ছিলেন, তিনি এখন সকলের ‘ফিটনেস গুরু’। তাঁর ফিটনেস মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হন ক্রিকেটার থেকে সাধারণ মানুষ– প্রত্যেকেই। ক্রিকেটের জন্য নিজেকে একেবারে বদলে ফেলেন কিং কোহলি। যে সতীর্থরা তাঁর ভোজনরসিক স্বভাবের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন, তাঁরাই পরবর্তী সময়ে কোহলিকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন! এমন বদলও সম্ভব, ভাবতেই পারেননি তাঁর এক সময়ের সতীর্থরা
বিরাট কোহলি ১০০তম টেস্ট খেলার আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা বার্তা উপচে পড়ছে। শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছেন কোহলির বর্তমান, প্রাক্তন সতীর্থরা। কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। প্রত্যেকেই কোহলিকে নিয়ে নানা মুহূর্ত শেয়ার করছেন। কোহলির দিল্লি টিমের সতীর্থ প্রদীপ সাংওয়ান ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি জানি ও কতটা ভোজনরসিক ছিল। ও প্রচুর খেত। মটন, ভাত- সব কিছু। এমন কী বিভিন্ন ভাল খাবারের সন্ধান পেলে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে চল যেতেন।’
তবে ২০১০ সালের রঞ্জিতে খেলতে যখন কোহলি দিল্লি দলে যোগ দেন, তখন সবটা বদলে গিয়েছে। একেবারে ‘উল্টে দেখ, পাল্টে গেছি’র মতো। সাংওয়ানের দাবি, ‘২০১০ সালে, যখন ও দিল্লির হয়ে রঞ্জি খেলতে এসেছিল, তখন সব কিছু বদলে গিয়েছিল। ও সিদ্ধ খাবার খেত। একবারে 200 মিলিলিটারের বেশি তরল কিছু খেত না। ভাত-মটনের জায়গায় তরকারি, ডায়েট ফুড- এ সব খেত। আমি ওকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে, ও নিজেকে কতটা বদলে ফেলেছে। আমি আইপিএলের সময়ে ওর সাথে দেখা করতাম এবং ও কখনও-ই ওর ফিটনেস সেশন মিস করেনি। বেশির ভাগ সময়ে আমি ওকে জিমে কাজ করতে দেখেছি। ওর ফোকাসটাই অনেকটা আলাদা ছিল। সেখানেই ও সকলের থেকে এগিয়ে ছিল।’
For all the latest Sports News Click Here