মইন ফিল্ডিং মিস করতেই আগুনে দৃষ্টিতে তাকালেন ধোনি, দেখলে ভয় পেয়ে যাবেন- ভিডিয়ো
পাঁচ বছর পর চিন্নাস্বামীতে চেন্নাই সুপার কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর একটি হাই-স্কোরিং রোমাঞ্চকর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে দুই দল মিলে দুই ইনিংসে অর্থাৎ ২০+২০= ৪০ ওভারে ৪৪৪ রান করেছিল। ৩৩টি ছক্কা হয়েছে এই ম্যাচে। যেটা কিনা একটি আইপিএলের ম্যাচে সর্বোচ্চ ছয়। তবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের যাবতীয় মশলা এই ম্যাচে থাকলেও, বেঙ্গালুরুর সমর্থকদের অফসোস, ঘরের মাঠে জিততে পারেননি বিরাট কোহলিরা।
চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ২২৭ রানের পাহাড় গড়ে। রান তাড়া করতে নেমে আরসিবি-ও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে। তারা জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গেলেও, শেষরক্ষা করতে পারেনি। ৮ রানে ম্যাচটি তারা হেরে যায়। এই ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনা এতটাই বেশি ছিল যে, শান্ত স্বভাবের ঠাণ্ডা মাথার মহেন্দ্র সিং ধোনিও কিন্তু নিজের মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি। মইন আলির ধীর গতির ফিল্ডিং দেখেই ম্যাচের মাঝে চটে লাল হয়ে যান ধোনি। যাঁকে নাকি ‘ক্যাপ্টেন কুল’ বলা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: RCB-কে হারিয়ে বড় লাফ CSK-এর, উঠে এল লিগ টেবলের তিনে, হেরেও কমলা টুপির মগডালে ফ্যাফ
আরসিবি রান তাড়া করার সময়ে ১৮তম ওভারের শেষ বলে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। ওয়েন পার্নেল ছিলেন স্ট্রাইকে। মাথিশা পাথিরানা, ওরফে বেবি মালিঙ্গা বল করছিলেন। শ্রীলঙ্কার বোলার ঘণ্টায় ১৩৫.৪ কিমি গতিতে বল করলে, পার্নেল সেটি একস্ট্রা কভারের দিকে মারেন। আর বল মেরেই তিনি সিঙ্গলের জন্য দৌড় লাগান। নন-স্ট্রাইকারে দাঁড়িয়ে থাকা সুয়াশ প্রভুদেসাই তখন গা-ছেড়ে দৌড়ান। পার্নেল এতে খেপেও গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: একেই ম্যাচ হেরেছেন, নিজেও চূড়ান্ত ব্যর্থ, তার উপর ১০ শতাংশ জরিমানা করা হল কোহলিকে
এ দিকে একস্ট্রা কভারে ফিল্ডিং করছিলেন মইন আলি। তাঁর কাছে বল পৌঁছতেই যদি তিনি দ্রুত ফেরাতেন, তবে রান আউটের সুযোগ ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ অলরাউন্ডার অলস ভাবে বলটি সংগ্আরহ করে সেটি ছোঁড়েন মাহির কাছে। ততক্ষণে অবশ্য সুয়াশ ক্রিজে পৌঁছে গিয়েছিলেন। আর এতেই রেগে যান ধোনি। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মইন সহজ একটা বল ধরতে গিয়ে মিস করায় এবং তার পর তাঁর গা-ছাড়া মনোভাবের কারণেই মূলত ক্ষেপে যান ধোনি। তবে মইনকে মুখে কিছু বলেননি ধোনি। তবে তাঁর চোখ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে, মইন আলির ফিল্ডিংয়ে তিনিই খুবই অসন্তুষ্ট। ক্যামেরায় সেটা পরিষ্কার ধরা পড়েছে। আর এই ভিডিয়োটি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
পাথিরানা শেষ পর্যন্ত ম্যাচের হিরো হয়ে যান। কারণ তিনি ম্যাচের শেষ ওভারে তিনি বল করতে এসেছিলেন। জিততে হলে আরসিবি-র দরকার ছিল ১৮ রান। মাথা ঠাণ্ডা করে, নিজের স্নায়ু ধরে রেখে বল করেন পাথিরানা। দেন ১০ রান। সেই সঙ্গে তিনি শেষ বলে একটি উইকেটও নিয়েছিলেন। সুয়াশ প্রভুদেসাইকে আউট করেছিলেন। আউট হওয়ার তিন বল আগে পাথিরানাকে একটি ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন সুয়াশ। শেষ পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংসই ৮ রানে জয় ছিনিয়ে নেয়।
For all the latest Sports News Click Here