ভুয়ো কল সেন্টারের লাখ লাখ টাকা কোথায় রাখত সাগ্নিক? পল্লবীর অ্যাকাউন্টেও যেত?
প্রয়াত অভিনেত্রী পল্লবী দে-র লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর ব্যাপারে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ভেসে আসছে পুলিশের কাছে। সাগ্নিকের আয়ের উৎস খুঁজতে খুঁজতে পুলিশ জানতে পেরেছে ভুয়ো কলসেন্টার চালাচ্ছিল সে। সঙ্গে সেখান থেকে অর্জিত বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করত নিজের বিলাসবহুল জীবনে।
‘পল্লবী দে-র রহস্য মৃত্যু মামলায়’ এখন পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন হয়েছিল ওই ভুয়ো কলসেন্টার থেকে তা কোথায় রাখা হয়েছে। সঙ্গে নিউ টাউনের সম্পত্তি কেনার জন্য যে দুই সম্পত্তি বিক্রি করেছে সাগ্নিকের পরিবার, সেগুলিরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, নিউ টাউনের ওই বহুতল আবাসনের প্রোমোটিং সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। জানতে চাওয়া হবে, ওই অবাসনে পল্লবীও আসবেন কি না!
প্রথমদিকে সাগ্নিকের পরিবার বলতে পারেনি তাঁদের ছেলে ঠিক কী কাজ করে। তাঁরা বারবার জানাচ্ছিলেন, ছেলে অনলাইনে কাজ করে। এরপর প্রয়াত অভিনেত্রীর মা-বাবা সাগ্নিকের নামে খুন ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনলে গ্রেফতার হয় সে। তারপর জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে একাধিক তথ্য হাতে আসে। তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারে, সাগ্নিকের টাকার মূল উৎস ছিল রাজারহাটে ভুয়ো কলসেন্টার। ওই কলসেন্টার থেকে রোজগার হওয়া নগদ টাকা খরচ করে চলত বিলাসিতা। আরও পড়ুন: শেষ ৭২ ঘন্টায় লুকিয়ে পল্লবীর মৃত্যুরহস্যের জট? সাগ্নিকের মা-বাবা’কেও জিজ্ঞাসাবাদ
আপাতত দেখা হচ্ছে কল সেন্টারের টাকা কোথায় রাখত সাগ্নিক। সেই নগদ টাকা খরচ করেই ৪৩ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট কেনা হয়েছিল কি না, তাও জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আপাতত সাগ্নিকের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই টাকা থেকে পল্লবীর অ্যাকাউন্টে যেমন টাকা গিয়েছে, তেমনই পল্লবীর অ্যাকাউন্ট থেকেও টাকা গিয়েছে।
For all the latest entertainment News Click Here