‘ভুল হলে কান ধরে দাঁড় করিয়ে দিতেন’, বললেন তরুণ মজুমদারের ‘বালিকা বধূ’ মৌসুমী
রুপোলি পর্দায় পা রাখা তাঁর হাত ধরে। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন কাকে বলে সেটাও মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে শিখিয়ে দিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার। তরুণ মজুমদারের সুবাদে বাংলা চলচ্চিত্র আর বাঙালি পেয়েছিল ‘রজনী’কে। মৌসুমীর জীবনের প্রথম পরিচালক আজ চলে গেলেন। কয়েক যুগের সম্পর্ক দুজনের। মনকেমনের এই দিন গলা বুজে আসছে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও আপনজনকে হারানোর শোক তাঁর কাছে। অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে এদিন তিনি জানিয়েছে, ‘জীবনে আর এক বাবাকে হারালাম’।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার জীবনে তিন বাবা। এক আমার বাবা, দ্বিতীয় আমার শ্বশুর (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়) আর তৃতীয় আমার সিনেমার বাবা তিনি তরুণ মজুমদার।’ সত্যি তো যাঁর হাত ধরে কর্মজীবনের পথচলা শুরু, তিনি তো পিতৃসম বটেই।
প্রথম ছবি করবার সময় কতই বা বয়স মৌসুমীর? কিশোরে পা দেওয়া অভিনেত্রীকে যখন তখন বকা দিতেন ‘তনু কাকু’। মৌসুমী জানালেন, ‘খুব দুষ্টুমি করতাম। বকুনিও খেতাম। ‘বালিকা বধূ’র সেটে কান ধরে দাঁড় করিয়েও রেখেছিলেন। একে একে সবাই চলে যাচ্ছে, আমি কান ধরে দাঁড়িয়ে আছি। দুঃখ হয়েছিল খুব।’
শেষবার কবে দেখা হয়েছিল? স্মৃতি হাতড়ে বললেন, ‘তিন বছর আগে কলকাতায় এসেছিলাম তখন সন্ধ্যাদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ওঁর সঙ্গে হয়নি।’ বড় মেয়ে মারা যাওয়ার পর স্বামী রেখে খুব বেশি মুম্বই ছাড়তে পারেন না মৌসুমী দেবী। আজ সবই স্মৃতি।
অভিনয়ের অ-আ-ক-খ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে শিখিয়েছেন তরুণ মজুমদার। ‘বালিকা বধূ’ ছাড়াও তরুণ মজুমদারের ‘ভালবাসার অনেক নাম’ ছবিতেও কাজ করেছেন অভিনেত্রী। তাঁকে ‘বড় মেয়ে’র চোখেই দেখতেন পরিচালক।
For all the latest entertainment News Click Here