ভুল বোঝাবুঝি মেটাতে ব্যাংকক গেলেন নীল-তিয়াশা, ফের কোন সমস্যার মুখোমুখি নায়িকা
স্টার জলসায় এখন একাধিক ধারাবাহিক এক এক রকমের প্লট নিয়ে আসছে। কখনও সেখানে মেয়েদের গল্প উঠে আসছে তো কখনও বাংলা মিডিয়াম। আমাদের সমাজের একাংশের বদ্ধমূল ধারণা একমাত্র ইংরেজি মিডিয়ামে বোধহয় সঠিক পড়াশোনা করা হয়। বাংলা মিডিয়ামের ছাত্র ছাত্রীরা সেই তুলনায় নেহাতই কম জানে। তাঁদের জ্ঞানের পরিধি কম, ইত্যাদি। ফলে তাঁদের খাটো চোখে দেখা যায়। এবার সেই ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করতে স্টার নতুন ধারাবাহিক এনেছে বাংলা মিডিয়াম। আর সেই ধারাবাহিকের শ্যুটিং এখন চলছে ব্যাংককে।
এখন কি তার মানে ব্যাংককে গিয়ে নীল এবং তিয়াশার প্রেম জমে উঠবে? উত্তর না-ই হবে। কারণ বাইরে গিয়ে টুইস্ট না এলে জমে নাকি! এই ধারাবাহিকের প্রযোজক জানিয়েছেন ঘুরতে গিয়ে নায়ক নায়িকা প্রেম করবে না। বরং তিয়াশা ষড়যন্ত্রের শিকার হবেন। হারিয়ে যাবে পর্দার ইন্দিরা।
এই সিরিয়ালের জন্য গোটা ইউনিট ব্যাংকক উড়ে গিয়েছিল কিছুদিন আগেই। সেখানেই চলে এই ধারাবাহিকের শ্যুটিং। সদ্যই তাঁরা কাজ শেষ করে দেশে ফিরেছেন।
নীল ভট্টাচার্য এবং তিয়াশা রায় সেখানে গিয়ে কাজ ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন বলেই জানা যায়। তবে তাই বলে একটি ধারাবাহিকের শ্যুটিং একেবারে বিদেশে! না, এর আগে গল্পের প্রয়োজন কখনও শহরের বাইরে, দীঘা, দার্জিলিং, ইত্যাদিতে শ্যুটিং করতে দেখা গিয়েছে, কিন্তু বিদেশের মাটিতে বাংলা ধারাবাহিকের শ্যুটিং এটা যেন একদমই নতুন।
কিন্তু জানা গিয়েছে বাংলা মিডিয়ামের গোটা গল্পের মোড়কে পুরোপুরি ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা। এই বিদেশের ট্রিপ। এই ধারাবাহিকের প্রযোজক এই বিষয়ে এবিপি আনন্দকে বলেন, ‘বাংলা মিডিয়াম এমন একটি মেয়ের গল্প, যে বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করেছে। তবে তার অর্থ এমন নয় যে সে ইংরাজি ভাষাটাকে পছন্দ করে না বা ঘেন্না করে। সে ইংরাজিতে সড়গড় নয়। এই সমস্যা বাংলা মিডিয়ামে পড়া প্রায় সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেই দেখা যায়। বাংলা মিডিয়ামে পড়লে অনেকের মধ্যেই একটা আত্মবিশ্বাসের অভাব কাজ করে যে বিশেষ কোনও জায়গায় গিয়ে হয়তো সঠিকভাবে কথা বলা যাবে না। কিন্তু এই গল্প এমন একটি মেয়ের যে বাংলা মিডিয়ামে পড়ে, ইংরাজির ওপর নির্ভর না করেই নিজের বুদ্ধি দিয়ে সমস্ত পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠে, জয়ী হয়ে ফেরে। উপস্থিত বুদ্ধি, মেধা সবই তার রয়েছে, কোনও লড়াইতেই সে পিছিয়ে নেই। এই ধারাবাহিকটা পরিকল্পনা করা হয়েছিল এই কারণেই যাতে অনেক বাংলা মিডিয়ামে পড়া ছাত্রছাত্রীরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পান।’
তবে সুশান্তর কথা অনুযায়ী এখানে কেবল ভাষার গল্পে ধারাবাহিক সীমাবদ্ধ থাকবে না। উঠে আসবে প্রেমের কাহিনিও। তাঁর কথা অনুযায়ী, ‘গল্পের নায়িকা ইন্দিরা বাংলা মিডিয়ামের ছাত্রী বলে তাঁকে প্রথমে বিয়ে করতে চাননি গল্পের নায়ক বিক্রম। বাংলা মিডিয়ামে পড়া মেয়ের সঙ্গে তাঁর মিলবে না এই কারণেই বিয়েতে আপত্তি ছিল তাঁর। কিন্তু ধীরে ধীরে একে অপরের প্রেমে পড়ে তাঁরা।’
আর এবার ব্যাংককে গিয়েই হারিয়ে যাবে ইন্দিরা। পাসপোর্ট সহ অন্যান্য জরুরি জিনিস হারিয়ে পড়বেন বিপদে। এমন অবস্থায় থেকেও কী করে কারও, মূলত তার স্বামীর সাহায্য ছাড়া সে কী করে দেশে ফেরে কেবল বুদ্ধির জোরে সেটাই এই গল্পে এবার উঠে আসতে চলেছে।
তিয়াশা এই ব্যাংকক শ্যুটিং প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা পাটায়া আর ব্যাংককে শ্যুটিং করেছি। স্যানথম ব্রিজ, চকোলেট ভ্যালিতে শ্যুট করেছি। এই চকোলেট ভ্যালিটা স্বপ্নের মতোই সুন্দর। এছাড়াও সমুদ্রের ধারে শ্যুটিং চলেছে। চিত্রনাট্যে এতদিন বিক্রম আর ইন্দিরার মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এখন সেটা মিটে কাছাকাছি আসছে নায়ক নায়িকা।’
For all the latest entertainment News Click Here