ভালো জুতো নেই, কুপোকাত করা নেট বোলারকে স্পাইক দেবেন মিরাজ, নিলেন নম্বর
নেটে ফরচুন বরিশালের ব্যাটাররা বেশ অস্বস্তিতে পড়েন উনিশ বছরের তরুণ সাঈদ আনোয়ারের লেগ স্পিন ভেলকিতে। নিখুঁত লাইন-লেন্থ, টার্ন আর গুগলিতে কোচদেরও নজর কেড়েছেন চাটগাঁওয়ের ছেলে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নতুন আউটারের পাশাপাশি তিনটি নেটে ঘুরে ঘুরে টানা আড়াই ঘণ্টা বোলিং করেন সাঈদ। চতুরাঙা ডি সিলভা, ইফতিখার আহমেদকে দিয়ে শুরু করেন। পরে মেহেদী হাসান মিরাজ থেকে শুরু করে সবাইকেই বোতলবন্দি করে রাখেন। বরিশালের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল ধারাবাহিকতা দেখে এগিয়ে আসেন। উৎসাহ দেন সাইদকে। বলেন, ‘লাভলি।’
পরে বয়স জানতে চান। বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক ও ফরচুন বরিশালের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপনের সঙ্গে কথা বলেন। দলটির মেন্টর নাজমুল আবেদীন ফাহিম অনুশীলন শেষে আলাদা করে কথা বলেন সাইদের সঙ্গে। বোলিং নিয়েই শুধু ফোকাস রাখার পরামর্শ দেন তিনি। কোচ মিজানুর চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘ব্রিলিয়ান্ট বোলিং। চার দিন ধরে নেটে বল করছে, একটা বলও শর্ট পড়েনি। বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক শিপনের সঙ্গে এটা নিয়েই কথা হল। ওকে নজরে রাখা হবে।’
যদিও সাঈদ জানালেন বয়সভিত্তিক দলে খেলার সুযোগ নেই। মেডিক্যালে দেখা গিয়েছে বয়স ১৮ পেরিয়ে গেছে। এ কারণে মেডিকেলে বাদ পড়েছিলেন। মিরাজ ব্যাটিং করার সময়ই সাঈদের পায়ে দেখেন রাবার স্পাইক। স্টিলের স্পাইক নেই জেনে অনুশীলনের পর মোবাইল নম্বর টুকে নেন। পরে সাঈদকে স্টিলের স্পাইক জুতো কিনে দেবেন মিরাজ।
বরিশাল টিম অনুশীলন করে চলে যাওয়ার পর চ্যানেল আই অনলাইনকে সাঈদ বলেন, ‘অনেকবেশি পরিশ্রমের কারণে লেন্থ ঠিক রাখতে পেরেছি। আমাকে যারা চেনেন তারা জানেন কতটা পরিশ্রম আমি করি। নেটে সবাই ভালো বলেছেন। কোচেরা, ইফতেখার ভাই থেকে শুরু করে সবাই উৎসাহ যুগিয়েছেন।’
সাঈদের প্রিয় লেগ স্পিনারদের মধ্যে অন্যতম হাসারাঙা, আদিল রশিদ। তবে কাউকে অনুসরণ করেন না। করেন নিজের মতোই বোলিং। সাঈদ এখন মিরাজের ফোনের অপেক্ষায়।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি চ্যানেল আই থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)
For all the latest Sports News Click Here