ভালো খেলেও বাদ পড়া ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়াচ্ছে টিম ইন্ডিয়ায়, এবার উপেক্ষিত চাহাল
দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হলে ভালো পারফর্ম্যান্স করাই একমাত্র হাতিয়ার হয় ক্রিকেটারদের। এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটে প্রতিভার ছড়াছড়ি এতটাই যে, প্রাথমিক স্কোয়াডে ঢোকা থেকে শুরু করে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় ক্রিকেটারদের।
টপ অর্ডার ব্যাটিং হোক অথবা মিডল অর্ডার, স্পিন হোক অথবা পেস বোলিং বিভাগ, ভারতীয় দলে কোনও ক্ষেত্রেই নিজের জায়গা পাকা বলে ধরে নিতে পারবেন না কেউই। ব্যাটিং অর্ডারের প্রতিটি জায়গার জন্য একাধিক দাবিদার। এমনকি নেতৃত্ব দেওয়ার লোকও নিতান্ত কম নেই।
এমন অবস্থায় অবশ্য নতুন একটা ট্রেন্ড চোখে পড়ছে টিম ইন্ডিয়ায়। এখন ভালো খেলেও প্রথম একাদশে জায়গা ধরে রাখা মুশকিল। ম্যাচ জেতানো পারফর্ম্যান্সের পরের ম্যাচেই কোনও ক্রিকেটার প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়তে পারেন, এমনটা ভাবাই যেত না এতদিন। তবে ভারতীয় দলে এখন তেমনটা দেখা যাচ্ছে হামেশাই।
গত বাংলাদেশ সফরের প্রথম টেস্টে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েও পরের টেস্টে বাদ পড়েন কুলদীপ যাদব। প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে ৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা ছাড়াও প্রথম ইনিংসে ৫টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি উইকেট নেন তিনি। তার পরেও কীভাবে দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে বাদ দেওয়া যায়, সেটাই বুঝে উঠতে পারেননি বিশেষজ্ঞরাও।
আরও পড়ুন:- IND vs NZ: শূন্যে উড়ে স্লিপে অবিশ্বাস্য দু’টি ক্যাচ, এবার ফিল্ডিংয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করলেন সূর্যকুমার- ভিডিয়ো
বাংলাদেশ সফরেই সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করেন ইশান কিষাণ। ২৪টি চার ও ১০টি ছক্কার সাহায্যে ১৩১ বলে ২১০ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলার পরেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের তিনটি ওয়ান ডে ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি ইশানের।
এবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে যুজবেন্দ্র চাহাল দুর্দান্ত বল করা সত্ত্বেও তাঁকে বাদ পড়তে হয় তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে। লখনউয়ে চাহাল ২ ওভার বল করে ১টি মেডেন-সহ মাত্র ৪ রানের বিনিময়ে ফিন অ্যালেনের মূল্যবান উইকেট তুলে নেন। সেই ম্যাচে চাহালের বোলিং কোটা পূর্ণ করাননি ক্যাপ্টেন হার্দিক। পরে আমদাবাদে মাঠে নামার সুযোগ পাননি যুজবেন্দ্র। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ভারতের হয়ে সব থেকে উইকেট নিয়েছেন চাহালই।
আরও পড়ুন:- IND vs NZ: সুপারহিট ক্যাপ্টেন, T20 ক্রিকেটে ভারত অধিনায়ক হিসেবে বিরল নজির পান্ডিয়ার
সাম্প্রতিক সময়ে এমন ঘটনা বারবার চোখে পড়লেও এমনটা নয় যে, আগে কখনও কারও সঙ্গে এমন আচরণ করেনি ভারতীয় টিম ম্য়ানেজমেন্ট। ২০১০ সালের বাংলাদেশ সফরে ঠিক একইরকম আচরণ করা হয় অমিত মিশ্রর সঙ্গে। সেবার চট্টগ্রাম টেস্টে দুর্দান্ত খেলার পরে মীরপুর টেস্টে বাদ পড়েন অমিত।
মিশ্র ২০১০ সালের চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রান করেন। সঙ্গে প্রথম ইনিংসে ৩টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন তিনি। অর্থাৎ, ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬৪ রান ও ৭টি উইকেট সংগ্রহ করেন মিশ্র। অথচ মীরপুরের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর বদলে দলে ঢোকেন প্রজ্ঞান ওঝা। আমদাবাদের টি-২০ ম্যাচে কুলদীপের বদলে মাঠে নামেন উমরান মালিক।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
For all the latest Sports News Click Here