ভালো, খারাপ থাকবেই তাই মুখে হাসি নিয়ে কাজ করে যাই-সাফল্যের মন্ত্র হার্দিকের
মাত্র ছয়-আট মাসের মধ্যেই জীবন বদলে গিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার। গত টি২০ বিশ্বকাপে চোট থেকে ফিরে এসে তেমন দাগ কাটতে পারেননি। অন্যদিকে দ্রুত নাম কামাচ্ছিলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। আদৌ কী সেই পুরনো হার্দিককে পাওয়া যাবে সেই নিয়ে চলছিল গুঞ্জন। কিন্তু এরমধ্যেই প্রথমে আইপিএল ও তারপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রতিভার ঝলকানি দেখালেন তিনি। ব্যাটিংয়ে তো হার্দিক আগের মতোই বিধ্বংসী, কিন্তু চোট সারিয়ে এসে বোলিংটা অনেক ক্ষুরধার। বল রীতিমত বাউন্স করছে উইকেট থেকে, সুইংও পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে হার্দিক ইজ ব্যাক। সাউথ্যাম্পটনে ম্যাচের শেষে যদিও অনেকটা দার্শনিক মেজাজে পাওয়া গেল তাঁকে। তাঁর কথায় সাফল্য ও ব্যথর্তাকে তাঁর ওপর এখন অতটা প্রভাব ফেলে না।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ তে ব্যাট হাতে ৩৩ বলে ৫১ করার পর টপ অর্ডারকে ধ্বংস করে চারটি উইকেট নেন গুজরাত টাইটানসের ক্যাপ্টেন। তাঁর সাফল্যের নেপথ্যে কী জিজ্ঞেস করলে হার্দিক বলেন যে সততার শক্তে তিনি সংগ্রাম করে গিয়েছেন। মেহনত করেছেন, যেটা সর্বদা কাজে লাগে। তবে সবদিন যে রেজাল্ট তাঁর পক্ষে যাবে না, সেটাও জানেন তিনি।
তিনি বলেন যে এখন তাঁর যা মানসিকতা সেটা তাঁকে একটা জায়গায় আবদ্ধ রাখে। তিনি আনন্দে আত্মহারা হন না, দুঃখে উদ্বেলও নয়। আজ ভালো, কাল খারাপ এই নিয়েই জীবন, তাই হেসে নিজের কাজ করে দাও, প্রায় দার্শনিকদের মতো বললেন হার্দিক।
এই প্রসঙ্গে আরো বিস্তারিত ভাবে কথা বলেন হার্দিক। তাঁর মতে, ব্যাটিং ও বোলিং তো বটেই, জীবনের খেলাতেও ক্ল্যারিটি থাকা খুব প্রয়োজন। জীবনে ঠিক কী তিনি চান, সেটা তাঁর কাছে স্পষ্ট ছিল। কখনো সেটা আবছা লাগলে, তিনি সময় বার করে সেটা শুধরে নেন। তাঁর পরিবার যে এই কাজে সাহায্য করে, সেটাও জানান হার্দিক। তিনি বলেন তাঁর স্ত্রী নাতাশা ছাড়াও তাঁর ভাই ও ভাইয়ের বউ তাঁকে ঠিক পথে চালিত করেন।আগামী টি২০ বিশ্বকাপ অবধি যে সাদা বলের ক্রিকেটের ওপরই তিনি জোর দেবেন ও টেস্ট নিয়ে অতটা ভাববেন না, সেটাও বলেন তিনি।
For all the latest Sports News Click Here