‘ভালোবাসা আর যৌনতার তফাত বোঝেন না’, স্ত্রীকে চুমু খাওয়া বিতর্কে জবাব সুদীপের
টেলিপাড়ার হিট জুটি সুদীপ-পৃথা। ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র মঞ্চে তাঁদের রসায়ন নজর কেড়েছে। সম্প্রতি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এই দম্পতি। সৌজন্যে একটি চুম্বনের ছবি। ভালোবাসার মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে পোস্ট করতেই রে রে করে তেড়ে এসেছিলেন নেটিজেনদের একটা অংশ। সেই নিয়ে যত্ত সমস্যা!
‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের অনিন্দ্য হিসাবে সুদীপ দর্শক মনে আলাদা একটা জায়গা করে নিয়েছেন। অভিনেতার জন্মদিনে স্বামীর সঙ্গো সোহাগে-আদরে জড়াজড়ি করে ছবি পোস্ট করেন স্ত্রী পৃথা। ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড- ‘হ্যান্ডসাম’ স্বামীকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেন পৃথা। কিন্তু এই ছবি দেখেই স্বামী-স্ত্রীকে নোংরা আক্রমণ করে বসেন নেটিজেনরা। কেউ লেখেন, ‘বাড়িতে গিয়ে চুমু খাও, ইনস্টাগ্রামে এসব নোংরামি কেন?’ কেউ আবার অহেতুক যৌনতা টেনে এনে গালমন্দ করেন পৃথাকে। আর সেই ‘ট্রোল অপসংস্কৃতি’ নিয়ে বিস্ফোরক সুদীপ। ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করে ট্রোলারদের ধুয়ে দিলেন অভিনেতা।
তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘মানুষজন কত দুঃখী, না পাওয়ার ফাস্ট্রেশনটা বেশি। সকলে উক্তি করেছেন, সমাজ অপসংস্কৃতিতে ভরে গেল। তাঁদের আমার প্রশ্ন, আমরা কি সত্যি আমাদের দেশের ইতিহাস আর সংস্কৃতিটা জানি?’
এরপর তিনি যোগ করেন, ‘আপনাদের মধ্যে কেউই বোধহয় ভালোবাসা আর যৌনতার মধ্যে তফাতটা বোঝেন না। ভালোবাসায় অভিব্যক্তি হয়, যৌনতার মধ্যে অনেকটা তফাত আছে। তাই সামান্য একটা চুমুকে আপনারা বিছানায় নিয়ে গিয়ে ফেলেন। আমি জানি না আপনারা যখনই ভালোবাসার মানুষকে চুমু খান,তখনই তাঁকে বিছানায় নিয়ে গিয়ে ফেলেন কিনা। আমার তো মনে হয়, হয়ত সন্তানকেও কোনওদিন চুমু-টুমু খেলে আপনার বলবেন হয়ত বিছানায় নিয়ে গিয়ে ফেলে, অন্তত আপনাদের মানসিকতা তাই। তাই যতই আমরা মায়ের পুজো করি না কেন, আপনারা মেয়েদের শরীরটা পণ্য হিসাবেই দেখেন। যেটা খুব দুঃখজনক।’
চড়া সুরে তিনি আরও জানান,’আর অপসংস্কৃতি প্রসঙ্গে বলি, তাহলে আমাদের খজুরাও-এর মন্দির, কোনারকের মন্দির- যেখানে দেবী-দেবতাদের ছবি যদি দেখেন সেগুলো সবটাই মিলনের চিহ্ন, সঙ্গমের চিহ্ন। সেই ছবি অজন্ত-ইলোরা সর্বত্রই খোদাই করা। অবাধ যৌনতার কথা প্রচার করা হয়েছে পুরাণ, মহাভারতে। সেগুলো নিশ্চয় আপনারা পড়েননি’।
সব শেষে সুদীপ বলেন, ‘সবার আগে নিজেদের শিক্ষিত করুন, খাপ পঞ্চায়েত খুলে বসবেন না।…. ভালোবাসার অভিব্যক্তিকে যৌনতার সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছেন, সেটা ভারতের সংস্কৃতি নয়।’
For all the latest entertainment News Click Here