ভারত আয়োজক হলেই শাপমুক্তি ঘটে অজিদের, জানেন এই কানেকশনের কথা?
অস্ট্রেলিয়ার আইসিসি-র কোনও টুর্নামেন্টে প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে ভারতের নিগূঢ় এক যোগ রয়েছে। ভারত আয়োজক দেশ হওয়া মানেই শাপমুক্তি ঘটে অজিদের। কী ভাবে? ভারত যখনই আইসিসি-র কোনও টুর্নামেন্টের আয়োজক হয়, তখনই অস্ট্রেলিয়া প্রথম বারের জন্য আইসিসি-র সেই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়।
এই যেমন ১৯৮৭ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল ভারত। প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আবার ২০০৬ সালে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করেছিল। সে বারও এই টুর্নামেন্টে প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অজিরা। আর এ বার অ্যারন ফিঞ্চের দল অধরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ বারও আয়োজক দেশ সেই ভারত। এ বার তো আবার টুর্নামেন্ট শুরুর আগে, অস্ট্রেলিয়াকে কেউ বিশেষ গুরুত্বও দেয়নি। তারা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবীদারও ছিল না। সেই আন্ডারডগ টিমই টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে। আসলে পরিসংখ্যান অনুযায়ী এমনটা ঘটা অবাক করার মতো বিষয় নয়। কারণ ভারত যে আয়োজক দেশ ছিল এই টুর্নামেন্টের।
রবিবার টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। বিধ্বংসী মেজাজে কেন উইলিয়ামসন ৪৮ বলে ৮৫ রান করে ফেলেন। আর কিউয়ি অধিনায়কের হাত ধরেই ১৭২ রানের বড় লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামসন ছাড়া মার্টিন গাপ্তিল ৩৫ বলে ২৮ রান করেছেন। এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তৃতীয় সর্বোচ্চ গ্লেন ফিলিপসের। ১৭ বলে ১৮ রান। এ ছাড়া জেমস নিশাম পাঁচে ব্যাট করতে নেমে ৭ বলে অপরাজিত ১৩ রান করেছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামলে দলের মাত্র ১৫ রানের মাথায় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এর পর ক্রিজে আসেন মিচেল মার্শ। আর এক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ভিত মজবুত করতে শুরু করেন তিনি। ৩৮ বলে ৫৩ রান করে ওয়ার্নার আউট হলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করেন মিচেল মার্শ। ৫০ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যাক্সওয়েল করেন ১৮ বলে ২৮ রান। ৭ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। এই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেল অজি ব্রিগেড। হয়তো ভারত আয়োজক দেশ বলেই, শাপমুক্তি ঘটল অজিদের।
For all the latest Sports News Click Here