‘ভারতের জার্সি পরে জাতীয় সংগীত গাওয়া সবথেকে গর্বের মুহূর্ত’, আবেগে ভাসলেন ঝুলন
ক্রিকেট কেরিয়ারে অনেক কিছু পেয়েছেন। কিন্তু দু’বার ফাইনালে উঠেও বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের স্বপ্নপূরণ না হওয়ার আক্ষেপ সম্ভবত কখনও মিটবে না ঝুলন গোস্বামীর। তবে দু’দশকের ক্রিকেট কেরিয়ারে ‘চাকদা এক্সপ্রেস’-র প্রাপ্তিও কম কিছু নয়। আর দেশের জার্সি পরে মাঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মুহূর্তকে শীর্ষে রাখলেন তিনি।
আগামিকাল (শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর) লর্ডসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন ঝুলন। যা ঝুলনের কেরিয়ারের ২০৪ তম আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ। একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকও ঝুলন। সেই ম্যাচের আগে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে নিজের অবসর জীবন, কেরিয়ারের সেরা মুহূর্ত, আক্ষেপ নিয়ে কথা বললেন। কী কী বললেন ঝুলন, তা দেখে নিন –
কেরিয়ারের স্পেশাল মুহূর্ত
ঝুলন গোস্বামী: আমার কেরিয়ার যে এত দীর্ঘ হবে, সেটা কখনও ভাবিনি। ভারতের টুপি পাওয়া এবং ভারতের হয়ে প্রথম বল করার মুহূর্ত আমার জীবনের সবথেকে স্পেশাল বিষয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ নিয়ে ক্রিকেটকে বিদায়, ঝুলনকে বিশেষ সম্মান হরমনদের- ভিডিয়ো
বিশ্বকাপ থেকে চোটের আশঙ্কা
ঝুলন গোস্বামী: সত্যি কথা বলতে বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর থেকেই যে সিরিজে খেলেছি, সেটাই মনে হত যে এটাই আমার শেষ সিরিজ। বারবার চোট পাচ্ছিলাম। কিন্তু ২০২২ সালের বিশ্বকাপে চোট পাওয়ার পর এবং শ্রীলঙ্কা সিরিজে খেলতে না পারায় এটাই আমার কাছে শেষ সুযোগ ছিল।
অবসরের পর পরিকল্পনা
(অবসরের পরের জীবন নিয়ে) ঝুলন গোস্বামী বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি বিষয়টা নিয়ে এখনও ভাবিনি। এখন আমি শুধুমাত্র লর্ডসের ম্যাচের উপর মনসংযোগ করছি এবং নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে চাইছি। কিন্তু আমি যেটাই করি না কেন, আপনাদের সাহায্য লাগবে। পরে আলোচনা করা যাবে।’
ক্রিকেট জীবনের আক্ষেপ
ঝুলন গোস্বামী: আমি যে বিশ্বকাপ ফাইনালগুলিতে খেলেছি, তার একটাও জিততে না পারার কষ্ট থাকবে। একটা জিততে পারলে খুব ভালো হয়।
১৯ বছরের ঝুলন কী চাইতেন?
ঝুলন গোস্বামী: ১৯ বছরে ঝুলন গোস্বামীর জন্য অভিষেক হচ্ছিল, সে তখন শুধু জোরে বল করতে চাইত। একটা উইকেট নিতে চাইত। ও জানত না যে এতদিন খেলবে।
আরও পড়ুন: ঝুলনের ইন সুইং সমস্যায় ফেলেছিল হিটম্যানকেও! ভারতের অধিনায়কের স্বীকারোক্তি
কেরিয়ারের সবথেকে গর্বের মুহূর্ত
ঝুলন গোস্বামী: ভারতীয় জার্সি পরে ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে মাঠের মাঝখানে গিয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়া নিয়ে সবথেকে গর্বিত আমি। সেটা সর্বদাই আমার কেরিয়ারের সবথেকে গর্বের মুহূর্ত হিসেবে থেকে যাবে। বরাবর সেটাই থাকবে।
For all the latest Sports News Click Here