ভরতে আস্থা নেই, ঋদ্ধিকে চাইছেন ভাজ্জি, টিম নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন নির্বাচকও
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের স্কোয়াডে তাঁর জায়গা হয় না। অথচ আইপিএলেক ১৭ ম্যাচে ৩৭১ রান করেছেন তিনি। গুজরাট টাইটান্সে রানের তালিকায় শুভমন গিলের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ তাঁর। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে তাঁর শিকার ১১। আইপিএল ফাইনালে ৩৯ বলে ৫৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসও খেলেন। ফাইনালে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি ছাড়া নিয়েছেন ২৮ রান। এক কথায়, পারফরম্যান্স ফিটনেস দুই-ই রয়েছে ঋদ্ধিমান সাহার। এত সব সব কিছুর পরেও ভারতীয় স্কোয়াডে তিনি ব্রাত্য। কেন? বয়সের অজুহাত। পারফরম্যান্স থাকার পরেও বয়স সত্যিই কি গুরুত্বপূর্ণ?
এই প্রশ্নকে আরও গুরুতর করে তুললেন হরভজন সিং। তিনি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য শ্রীকর ভরতের উপর আস্থাই রাখতে পারছেন না। ভরতের বদলে ঋদ্ধিমান সাহাকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল বলে দাবি ভাজ্জির। অভিজ্ঞতা এবং ছন্দের জন্যই বাংলার উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের কথা বলেছেন প্রাক্তন অফস্পিনার। একই বক্তব্য দুই প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচকেরও। যদিও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে ভারতের হয়ে আর খেলেননি বাঙালি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
আরও পড়ুন: ধোনির মনের জোর, তার উপর আধুনিক ফিজিয়োথেরাপি- মাহির চোট নিয়ে খেলার প্রসঙ্গে বললেন ভোগলে
তার পরেও হরভজন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওভালের ২২ গজে গুরুত্বপূর্ণ টেস্টে ঋদ্ধিমানকেই খেলানো উচিত ছিল। ভাজ্জির যুক্তি, ‘ঋদ্ধিমান এক বছরের বেশি খেলেনি ঠিকই। আমার মনে হয় না এটা কোনও বিষয়। এখন ভারতের হয়ে ভরত খেলছে। ঋদ্ধিমান থাকলে ওকেই খেলাতে বলতাম। কারণ ঋদ্ধিমান অভিজ্ঞ এবং উইকেটরক্ষক হিসেবেও অনেক দক্ষ। লোকেশ রাহুল খেলার মতো অবস্থায় থাকলে ওকেও আমি ভরতের থেকে এগিয়ে রাখব।’
আরও এক প্রাক্তন নির্বাচক শরণদীপ সিংহ কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য উইকেটরক্ষক হিসাবে ইশান এবং ভরতকে দলে নেওয়ার মধ্যে কোনও বুদ্ধিমত্তার ছাপ নেই।’
আরও পড়ুন: শুভমনের কোন শটে কাহিল হবে তাবড় অজি বোলাররা, বলে দিলেন পন্টিং
ভরতের উপর তেমন আস্থা নেই প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদেরও। তিনি অবশ্য সরাসরি ঋদ্ধিমানের না করেই বলেছেন, ‘ইশান কিষাণকে প্রথম একাদশে না রেখে ভরতকে খেলানো সহজ সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে বিদেশের মাটিতে পন্তের অভাব পূরণ করা মোটেও সহজ হবে না। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে পন্ত ছাড়া কোনও উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে শতরান নেই। এক জন উইকেটরক্ষককে কম করে ১০০ ওভার উইকেটের পিছনে দাঁড়ানোর মতো ফিট থাকতে হয়। টেস্ট ক্রিকেট এত সহজ নয়। অন্য রকম ভাবা যেতে পারত।’
For all the latest Sports News Click Here