‘ভবিষৎ কেউ জানে না’ বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চে আবেগঘন হারনাজ, আর’বনিকে দিলেন কোন বার্তা
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আর’বনি গ্যাব্রিয়েল এবারের বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জয় করলেন। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী হারনাজ সান্ধুকে এই মঞ্চে তাঁর শেষবারের হাঁটার সময় বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা যায়। তিনি একটি কালো রঙের পোশাক পরেছিলেন। অনেক কষ্টে চোখের জল সামলে দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দেন। তিনি যখন হাঁটছিলেন সেই সময়ও তাঁর মনের কষ্ট এবং আবেগ বেশ বোঝা যাচ্ছিল। এমনকী তিনি চলতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন এদিন।
হারনাজ সান্ধু যখন শেষবার স্টেজে হাঁটছিলেন তখন নেপথ্য সঙ্গীতে তাঁর কণ্ঠ বাজছিল। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি যখন প্রথমবার স্টেজে উঠেছিলাম তখন আমার মাত্র ১৭ বছর বয়স ছিল। আর তখন থেকেই আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, বিশ্বসুন্দরী হওয়া। আমাকে মেনস্ট্রুয়াল সমতা নিয়ে কথা বলতে দেওয়া হয়েছিল এই মঞ্চে।’
তিনি বিশ্বসুন্দরী প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান তাঁর কথা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। একই সঙ্গে তিনি নতুন বিশ্বসুন্দরীকে বলেন, ‘মনে রেখো, এই বছরটাই ফাটিয়ে বাঁচতে হবে। কারণ ভবিষৎ কী সেটা কেউ জানে না।’
মাত্র একদিন আগেই প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী হারনাজ, বিশ্বসুন্দরী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা চক্রাপং অ্যানি চক্রাজুটাথিবের থেকে একটি বার্তা পেয়েছিলেন। ইনস্টাগ্রামে চক্রাপং অ্যানি চক্রাজুটাথিব হারনাজের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘আজ আমরা গোটা বিশ্বকে দেখালাম নতুন বিশ্বজয়ীর মুকুট, যা কিনা ভালো শক্তির প্রতীক। আগামীকাল তোমার শেষদিন আমার বোন, হারনাজ সান্ধু। কাল পদত্যাগ করবে তুমি। আমি আমার সবটুকু দিয়ে ভালোবাসি তোমায়। তোমার মাত্র ২২ বছর, কিন্তু আমি জানি তুমি কতটা শক্তিশালী, স্বাবলম্বী, কনফিডেন্ট, এবং সুন্দর। তুমি ইতিহাস তৈরি করেছ। আমরা সবসময় তোমায় মনে রাখব।’
হারনাজ এই বার্তার উত্তরে লেখেন, ‘অ্যানি, তুমি ভীষণ ভালো একজন মানুষ। আমাদের সবার কাছে অনুপ্রেরণা তুমি। এটা আমার সৌভাগ্য যে আমি তোমায় এবং তোমার ভাবনাকে এতটা কাছে থেকে দেখতে পেরেছি, জানতে পেরেছি। গোটা বিশ্ব নিয়ে তুমি কী ভাবো সেটা আমি জানতে পেরেছি। অনেক ধন্যবাদ তোমার এই কথাগুলোর জন্য।’
For all the latest entertainment News Click Here