‘ভগবান আমাকে যোগ্যতার চেয়ে বেশিই দিয়েছেন’, জীবনের হাফ সেঞ্চুরিতে উপলব্ধি সোনুর
স্ট্রাগল-সাফল্য-বিতর্কে ভরপুর ৩০ দশকের কেরিয়ার। যদিও লাইভ স্টেজ শো-এর অভিজ্ঞতা যোগ করলে তাঁর পেশাদার জীবনের সময়সীমা ৪৫ বছর। কথা হচ্ছে বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র সোনু নিগমের। আজ ৫০-এ পা দিলেন ‘কাল হো না হো’ গায়ক। সোনু নিগম মানেই মিউজিক্যাল ম্যাজিক, তাঁর সুরের মূর্ছনা মুগ্ধ করে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীকে।
নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা ছেলেমেয়েদের কাছে সোনুর কন্ঠ আত্মার বন্ধন। তাদের প্রেম, বিরহ, আনন্দ সব কিছুর বহিঃপ্রকাশের ভাষা সোনুর গান। ১৯৭৩ সালের ৩০শে জুলাই জন্ম সোনু নিগমের। মাত্র ৫ বছর বয়স থেকে মঞ্চে গান গাইছেন সোনু। ৪৫ বছর ধরে একটানা জারি রয়েছে এই সুর-সফর। সবচেয়ে বড় কোন জিনিসটা মঞ্চ তাঁকে শিখিয়েছে? হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সঙ্গীতশিল্পী বলেন- ‘আমি উপলব্ধি করেছি সবসময় দুনিয়ার কাছে মাথানত করে থাকতে হবে। পাশাপাশি আমি এটাও বুঝেছি যে জীবনে যা কিছু আমি অর্জন করেছি, তার কোনও কৃতিত্বই আমার নয়। আসলে পুরোটাই আমার সৌভাগ্য যে ৪৫ বছর ধরে আমি টিকে রয়েছি’।
সোনুর ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পদ্মশ্রী সম্মান। সঙ্গীত সফরের শুরুতে কখনও এই সম্মান আশা করেছিলেন? সোনুর কথায়, ‘ভগবান আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন, হয়ত আমি যা কল্পনাও করিনি বা মুখোমুখি হওয়ার কথা ভাবিনি। আমি মুম্বই এসেছিলাম একজন গায়ক হতে, কোনওদিন আশা করিনি সারা দেশে আমার পোস্টার বিক্রি হবে একদিন’।
১৯৯৩ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে বলিউডে কাজ শুরু করেন সোনু নিগম। গানের অনুষ্ঠান সারেগামা-র সঞ্চালক হিসাবে ঘরে ঘরে জনপ্রিয়তা পান সোনু। দীর্ঘ কেরিয়ারে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির নানান ওঠাপড়া এবং পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছেন সোনু। ইন্ডি-পপ কালচারের বড় অংশ ছিলেন গায়ক নিজে, আজ তার অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। ফিল্মি মিউজিকের আধিপত্য রয়েছে ঠিকই, কিন্তু বদল এসেছে গানের ধরণে। সৌম্য বাজপেয়ীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোনু বলেন, ‘আমি মিউজিক এবং মিউজিক সম্পর্কিত ব্যবসায় অনেক বদল দেখেছি। তবে আমি কোনও নির্দিষ্ট সময়কে গৌরবান্বিত করতে চাই না, বা আজকের প্রজন্মকে ছোট করে দেখাতে চাই না। প্রত্যেক দশকের কিছু খামতি রয়েছে আবার প্রাপ্তির ঝুলিও কাণায় কাণায় ভরপুর। আমার মনে হয় সেকেলে ভাবনাচিন্তা ত্যাগ করলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব’।
৫০তম জন্মদিনে নিজের বাড়িতেই বন্ধুদের নিয়ে হুল্লোড়ে মাতলেন সোনু। রাতভর চলল পার্টির জমাটি আসর। গানে গানে সোনুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা। সেলিম মার্চেন্ট, শান, কবিতা শেঠ, তালাত আজিজ, আকৃতি কক্কররা হিন্দুস্তান টাইমস সিটির মাধ্যমে ভিডিয়ো বার্তায় সোনুকে মিউজিক্যাল শুভেচ্ছা জানান। শান তো গানে গানে বলেই দিলেন, ‘দেখে মন হয় বয়স তাঁর সবে ২১, সোনুকে ঘিরে মাতামাতি দিন দিন বেড়েই চলেছে’।
জন্মদিনের পার্টিতে মন খুলে আনন্দে মাতলেন সোনু। গানে গানে জমিয়ে দিলেন পার্টির আসর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সোনুর বার্থ ডে পার্টির একাধিক ঝলক। একটিতে ‘ইরায়ানা’ গানে গলা মেলালেন সোনু। পরিবার ও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুদের নিয়ে জমজমাট সোনুর ৫০তম জন্মদিন।
For all the latest entertainment News Click Here