বড়পর্দায় সুযোগ দিয়েও ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, ‘গডফাদার’ অমিতাভকে নিয়ে বিস্ফোরক আরশাদ
সামনেই মুক্তি পাচ্ছে অক্ষয় কুমার-কৃতি শ্যানন অভিনীত ছবি ‘বচ্চন পাণ্ডে’। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে আরশাদ ওয়ার্সি-কে। সম্প্রতি, এই ছবির প্রচার সারতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন আরশাদ। সেখানেই নিজের কেরিয়ার প্রসঙ্গে নানান প্রশ্নের জবাব খোলাখুলি দিলেন এই জনপ্রিয় বলি-অভিনেতা। ওই সাংবাদিক সম্মেলনেই আরশাদকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যেহেতু তাঁর পরিবারের সঙ্গে বলিউডের কোনও সম্পর্ক ছিল না তাই ইন্ডাস্ট্রিতে কি তাঁর কোনও ‘গডফাদার’ রয়েছেন? আর থেকে থাকলে তিনি কে?
এতটুকুও দ্বিরুক্তি না করে অমিতাভ বচ্চনের নাম নেন আরশাদ। তবে পাশাপাশি ঘুরিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতেও ভোলেননি তিনি। আরশাদ বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালে ওঁর প্রযোজনা সংস্থা এবিসিএল-এর প্রযোজিত তেরে মেরে সপনে-তে কাজ করার সুযোগ পাই। সেই ছবির মাধ্যমেই বড়পর্দায় ডেবিউ করি। পরিচালক ছিলেন জয় অগাস্টিন। এঁরাই আমাকে অভিনয়ের জগতে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তারপর কী হল জানি না। ওই ছবির পর আমার হাত ছেড়ে দিলেন তাঁরা। সামান্যতম কোনও যোগাযোগই আর রাখেননি। তাই প্রকৃত অর্থে তাঁদের গডফাদার বলব না ঠিক কী বলব, জানি না।’আরশাদের মুখের এহেন জবাব শোনামাত্র সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মধ্যে হাসির রোল ওঠে।অন্যদিকে, অভিনেতার পাশে বসা অক্ষয়-কৃতিদের মুখেও তখন দেখা গিয়েছে চওড়া হাসি।
প্রসঙ্গত, বড়পর্দায় পা রাখার আগে বেশ কিছু হিন্দি ছিটে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন ‘সার্কিট’। আবার কোনও কোনও ছবির নৃত্য নির্দেশক হিসেবেও সামলেছিলেন দায়িত্ব। এরপর ১৯৯৬ সালে অমিতাভ বচ্চনের প্রযোজনা সংস্থা ‘এবিসিএল’-এর ব্যানারে তৈরি এই ‘তেরে মেরে সপনে’-তে মুখ্যভূমিকায় দেখা গিয়েছিল আরশাদকে। ছবিতে আরশাদ ছাড়াও ছিলেন নবাগত চন্দ্রচূড় সিং, প্রিয়া গিল। মার্ক টোয়েনের বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য প্রন্স অ্যান্ড দ্য পপার’ এর কাহিনি অবলম্বনেই লেখা হয়েছিল এই ছবির চিত্রনাট্য। তবে জয় অগাস্টিন পরিচালিত এই ছবি বিশেষ কিছু সাফল্যের মুখ দেখেনি বক্স অফিসে। এরপর আরশাদ অভিনীত বেশ কয়েকটি ছবি পরপর বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়াতে বলিউড থেকে একপ্রকার হারিয়েই যেতে বসেছিলেন তিনি। শেষমেশ ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ ছবির মাধ্যমে কেরিয়ারে নতুন জীবন পেয়েছিলেন এই বলি-অভিনেতা।
For all the latest entertainment News Click Here