ব্লুস্টারকে পর্যুদস্ত করে এএফসি কাপে পরের রাউন্ডে আবাহনীর মুখোমুখি মোহনবাগান
শুভব্রত মুখার্জি: এএফসি কাপের বাছাই পর্বের শ্রীলঙ্কার ব্লুস্টার দলকে পর্যুদস্ত করার পরবর্তী ম্যাচে প্লে অফে বাংলাদেশের আবাহনীর বিরুদ্ধে খেলবে এটিকে মোহনবাগান দল। আগামী ১৯ এপ্রিল ম্যাচটি হবে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। এই ম্যাচে জয়ী দল সরাসরি গ্রুপ লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আবাহনীকে হারিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে যেতে মুখিয়ে রয়েছেন ফেরান্দোর ছেলেরা।
রয় কৃষ্ণ, সন্দেশ ঝিঙ্গানের মতন প্রথম সারির ফুটবলারের অনুপস্থিতি সত্বেও যেভাবে ব্লুস্টারকে হেলায় হারিয়েছে মোহনবাগান তাতে করে মোহনবাগানকে বেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বলেই মনে করছেন আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস। তিনবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দলকে নিয়ে বেশ সতর্ক তিনি। মোহনবাগানের ম্যাচের ক্লিপিংসও জোগাড় করে ফেলেছেন তিনি। মোহনবাগানের স্ট্রাটেজি নিয়েও কাটাছেঁড়া করার পাশাপাশি ফুটবলারদের শক্তি, দুর্বলতার জায়গা খুঁজে বার করতেও কাটাছেঁড়া শুরু করেছেন মারিও লেমোস।
১৯ এপ্রিল কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে প্লে-ম্যাচ জিতলেই গ্রুপ পর্ব খেলার সুযোগ পাবে হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী না হয় ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহনবাগান। আবাহনীর ৩৫ বছর বয়সি পর্তুগীজ কোচ মারিও লেমোস মোহনবাগানকে হারানোর বিষয়ে বেশ আশাবাদী। উল্লেখ্য প্রিলিমিনারি রাউন্ড দুইয়ের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়া আর্থিক সংকটের কারণে খেলতে আসতে পারেনি বাংলাদেশে। ফলে সরাসরি প্লে-অফে উঠে এসেছে আবাহনী। অপরদিকে শ্রীলঙ্কার ক্লাব ব্লুস্টার ক্লাবকে ৫-০ গোলে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে প্লে-অফে উঠেছে মোহনবাগান।লেমাস মনে করেন খাতায় কলমে মোহনবাগান বেশ শক্তিশালী। তারা ঘরের মাঠে খেলার বাড়তি সুবিধা পাবে। দলে বেশ ভাল কিছু ফুটবলার রয়েছে যারা পজেশনাল এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে পছন্দ করে। ফলে লড়াইটা হবে হাড্ডাহাড্ডি বলেই তার মত।
অন্যদিকে চোটেগ্রস্ত ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডরিয়েলটন গোমেজকে মোহনবাগান ম্যাচে আবাহনী পাবে কিনা সেই নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। দলে নেওয়া হয়েছে স্ট্রাইকার নেদো তুর্কিভিচকে। আবাহনী লিমিটেড ও এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচের জয়ী দল জায়গা পাবে গ্রুপ পর্বে। গ্রুপে বাকি তিন দল বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস, ভারতের গোকুলাম কেরালা ও মলদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস ক্লাব।
For all the latest Sports News Click Here