‘ব্যাজবল’ খেলতে গিয়ে ডুবল জিম্বাবোয়ে, বিশ্বকাপের মূলপর্বের একেবারে কাছে লঙ্কা
বিশ্বকাপের যোগ্য অর্জন পর্বের সুপার সিক্সে মুখোমুখি হয়েছে জিম্বাবোয়ে এবং শ্রীলঙ্কা। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লড়াই চালাচ্ছে শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবোয়ে। কিন্তু সুপার সিক্সের ম্যাচে লঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ধাক্কা খেল ক্রাইগ আর্ভিনের দল। লঙ্কানদের বিরুদ্ধে মাত্র ১৬৫ রানে অলআউট হয়ে গেল জিম্বাবোয়ে।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। জিম্বোবোয়ের হয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নামেন জয়লর্ড গুম্বি। কিন্তু শুরুতেই খাতা না খুলে ফিরে যান তিনি। সব চাপটাই এসে পড়ে জিম্বাবোয়ে অধিনায়কের উপর। কিন্তু তিনিও যে বড় রান করতে সক্ষম হয়েছেন, তা একেবারেই বলা যাবে না। মাত্র ১৪ রান করে ফিরে যান তিনি। আর্ভিন ফিরে যাওয়ার আগে মাত্র ১ রান করে ড্রেসিংরুমের দিকে এগিয়ে যান ওয়েসলি। পরপর তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় বেশ চাপে পড়ে যায় জিম্বাবোয়ে।
পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছে, মাত্র ৫০-১০০ রানের মধ্যেই গুটিয়ে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রুখে দেওয়া জিম্বাবোয়ে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে দেন সিন উইলিয়ামস এবং সিকান্দার রাজা। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে জিম্বাবোয়ে। লঙ্কান বোলাদের ওপর ক্রমশ চাপ তৈরি হতে থাকে। কিন্তু লঙ্কান বোলাররা মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দেন।
প্রথমে সিকান্দার রাজাকে তুলে নেন শনাকা। ৩টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে ৫১ বলে ৩১ রান করেন রাজা। এরপরই থিকশানা বোল্ড করে দেন উইলিয়ামসকে। জিম্বাবোয়ের বড় রানের আশা শেষ হয়ে যায়। উইলিয়ামস ৬টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে ৫৭ বলে ৫৬ রান করেন। আর কোনও ব্যাটারই বড় রান করতে পারেননি। মাত্র ১৬৫ রানে শেষ হয়ে যায় জিম্বাবোয়ের দৌড়।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুর্দান্ত বল করেন মহেশ থিকশানা। ৮.২ ওভার বল করে মাত্র ২৫ রানের বিনিময় তুলে নেন ৪ উইকেট। পাশাপাশি দিলশান মাদুশনকা ৫ ওভার বল করে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। এছাড়াও দাসুন শনাকা একটি এবং মাথিশা পাথিরানা ২ উইকেট তুলে নেন। এই ম্যাচ জিততে হলে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন মাত্র ১৬৬ রান। যা সহজেই লঙ্কানরা তুলে ফেলতে পারবে বলে মনে করছে ক্রিকেট মহল। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের মূল পর্বের অনেকটা কাছে পৌঁছে গেল শ্রীলঙ্কা।
For all the latest Sports News Click Here