ব্যাজবল উড়ে গেল, দ্বিতীয় টেস্টেও জিতল অজিরা, কাজে এল না স্টোকসের ১৫৫ রান
ব্রিটিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস দুরন্ত ছন্দে দেড়শোর বেশি রান করে ফেললেন। তাতেও শেষ রক্ষা হল না। ব্যাজবল নীতিকে গোল্লায় পাঠিয়ে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টেও হারতে হল ইংল্যান্ডকে। ৩০১ রানের মাথায় বেন স্টোকস আউট হয়েছিলেন। তখন হাতে ছিল তিন উইকেট। কিন্তু ৩০২ রানেই পরপর ২ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে ইংল্যান্ড। তার পরেও শেষ উইকেটে লড়াই করেছিলেন জোশ টাঙ্গ এবং জেমস অ্যান্ডারসন। তবে শেষ রক্ষা হল না। ৩২৭ রানে অল আউট হয়ে গেল ইংল্যান্ড। ৪৩ রানে জিতল অস্ট্রেলিয়া।
লর্ডসে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে ৩৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল চার উইকেটে ১১৪ রান। অর্থাৎ পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের আরও ২৫৭ রান প্রয়োজন ছিল। বেন ডাকেট ৫০ করে অপরাজিত ছিলেন। আর বেন স্টোকস ২৯ রান করে ক্রিজে ছিলেন। পঞ্চম দিন ব্যাট করতে নামলে ডাকেট আরও ৩৩ রান যোগ করে জোশ হ্যাজলেউডের বলে অ্যালেক্স ক্যারিকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান। ডাকেটের ১১২ বলে ৮৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে রয়েছে ৯টি চার।
ডাকেট আউট হলেও, রবিবার ব্যাজবল ভুলে, বরং উইকেটে খুঁটি হয়ে দলকে আগলে রাখার চেষ্টা করেন ব্রিটিশ অধিনায়ক। ২১৪ বল খেলে ১৫৫ রানের নির্ভরযোগ্য ইনিংস খেলেন বেন স্টোকস। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ৯টি চার এবং ৯টি ছয়। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারলেন না স্টোকস। দলকে জিতিয়ে তিনি মাঠ ছাড়তে পারলেন না। স্টোকস যখন আউট হয়েছিলেন, তখন জেতার জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল আরও ৭০ রান। ম্যাচ জিততে নিঃসন্দেহে ব্রিটিশ টেল এন্ডাররা অসাধারণ লড়াই করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। জোশ টাঙ্গ এবং জেমস অ্যান্ডারসন মিলে হাল ধরে রেখেছিলেন। ব্য়াজবল নয়, বরং টেস্টের রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়েই লড়াই করেছিলেন তারা। শেষ উইকেটে তারা ২৫ রান যোগ করেন। তবে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ৩২৭ রানে।
পঞ্চম দিন জনি বেয়ারস্টো (২২ বলে ১০ রান) যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন, তখন দলের স্কোর ছিল ১৯৩ রান। সেই সময় থেকে স্টুয়ার্ট ব্রডকে সঙ্গী করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেন স্টোকস। মধ্যাহ্নভোজের যাওয়ার আগেই ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ২৪৩/৬। জয়ের জন্য তখন ১২৮ রান প্রয়োজন ছিল। শতরান করে অধিনায়ক তখনও ক্রিজে। উইকেট আঁকড়ে স্টোকসকে সঙ্গত করছিলেন ব্রড। অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল চার উইকেট। সপ্তম উইকেটে ১০৮ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ করেন স্টোকস এবং ব্রড। এই ১০৮ রানের মধ্যে ব্রড করেন মাত্র ১১ রান। বাকি ৯৭ রানই স্টোকসের। আর ব্রিটিশ অধিনায়ক সাজঘরে ফিরতেই সব আশা শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। স্টোকস আউট হওয়ার পরে ১ রান যোগ করেছিলেন অলি রবিনসন। সেই ১ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার ঠিক পরেই স্টুয়ার্ড ব্রড ৩৬ বলে ১১ করে সাজঘরে ফেরেন।
For all the latest Sports News Click Here