ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়তে বল চাইছিলেন অশ্বিন-জাদেজা, ‘চাপের’ কথা ফাঁস করলেন রোহিত
স্কোরকার্ডকে গাধা বলেছিলেন বিশিষ্ট ক্রিকেট লেখক নেভিল কার্ডাস। সত্যিই তো কে কত ভালো খেলেছে বা খেলেনি, সেটা আদৌ সবসময় বোঝা যায় না রেকর্ডবুক দেখলে। কিন্তু তবুও নজির গড়া নিয়ে প্লেয়ারদের আগ্রহ থেকেই যায়। হয়তো তারা প্রকাশ্যে সেটা স্বীকার করেন না, ক্লিশে ক্রিকেট ইজ টিমগেমের বুলি আওড়ে যান, কিন্তু প্রায় সব প্লেয়ারই চান যে ইতিহাসের খেরোর খাতায় তাদের নাম যেন জ্বলজ্বল করে থাকে। এতে দোষও নেই। লেগ্যাসি তৈরি করার ইচ্ছা যে কোনও সফল পেশাদারের মধ্যে থাকা খুবই স্বাভাবিক। তবে এই নজির গড়ার লড়াই অনেক সময় ক্রিকেটের মাঠে অধিনায়কদের বিপাকে ফেলে। প্রথম টেস্ট জেতার পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে হালকা চালে সেই কাহিনিই শোনালেন রোহিত শর্মা।
প্রথম টেস্টে এক ইনিংস ও ১৩২ রানে জিতেছে ভারত। প্রথম ইনিংসে অজিরা ১৭৭ রানে অল আউট হন। সেখানে পাঁচ উইকেট নেন রবি জাদেজা। যোগ্য সঙ্গত নেন অশ্বিন। দ্বিতীয় ইনিংসে উল্টো ঘটনা। এখানে অজিরা মাত্র ৯১ রানে অল আউট হয়ে যায়, নিজের কেরিয়ারের ৩১তম পাঁচ উইকেট নেন অশ্বিন। তবে দ্বিতীয় ইনিংস চলাকালীন বল দেওয়া নিয়ে যে মধুর সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল, সেই কথা জানিয়েছেন রোহিত শর্মা। তিনি জানান যে দুজনের হাত থেকে বল নেওয়া যাচ্ছিল না।
বিন্দাস স্বভাবের রোহিত কার্যত হাটে হাঁড়ি ভেঙে বলেন যে তিনজন স্পিনারকে পরিচালনা করা একটু শক্ত। সবাই নজির গড়ার মুখে। জাদেজা এসে বলছে আমায় বল দাও, ২৫০ উইকেট হয়ে যাবে। অন্যদিকে অশ্বিন আবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার চক্করে। রোহিত বলেন যে তিনি অতটা নজির নিয়ে মাথা ঘামান না কিন্তু এইসব ক্রিকেটাদের একেবারে টনটনে জ্ঞান এই বিষয়ে। কোন দিক থেকে বল দেবেন এই তারকা স্পিনারদের, সেটা নিয়ে তিনি চাপে থাকেন বলে অকপটে কবুল করেছেন রোহিত শর্মা। এদিন অবশ্য অশ্বিন ও জাদেজা উভয় নিজেদের ব্যক্তিগত নজির গড়তে সক্ষম হন। তবে তিনি কী বিচার করে এই দুই তারকা স্পিনারকে বল দেন, সেটাও জানান ভারতীয় অধিনায়ক।
বাঁহাতিদের বিরুদ্ধে অশ্বিনকে বেশি করে ব্যবহার করার কথা জানান রোহিত। অন্যদিকে অক্ষর ও জাদেজাকে তিনি ডান-হাতিদের বিপক্ষে বেশি বোলিংয়ের জন্য আনেন। এদিন পরিকল্পনা পুরোপুরি ভাবে খেটে গিয়েছে কারণ অজিদের টপ অর্ডারে যে চারজন বাঁ হাতি আছে, প্রত্যেকেই অশ্বিনের বলে আউট হন। রোহিত ভারতীয় স্পিন ত্রয়ীর সঙ্গে অজি পেস ত্রয়ী কামিন্স, হ্যাজেলউড ও স্টার্কেরও তুলনা টানেন। তিনি বলেন এদের ক্যাপ্টেন্সি করা অনেকটা অজি পেস অ্যাটাকের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো। এটা যে তাঁর কাছে আশীর্বাদস্বরূপ সেটাও নির্দ্বিধায় মেনে নেন অধিনায়ক। তিনি বলেন যে পিচ সহায়ক ছিল সেটা সত্যি, কিন্তু সেটা কাজে লাগাতেও জানতে হয়। কারণ দুটো দলই তো একই পিচে খেলছে। কোথায় বল করলে লাভ হবে, কোথায় ফিল্ডার থাকতে হবে সবই তাঁর বোলাররা জানেন বলে প্রশংসা করেন রোহিত। তবে তিনি বোলারদের পুরো ক্রেডিট দিলেও অশ্বিন ম্যাচের শেষে এদিন বলেন যে রোহিত তাঁদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে পরিকল্পনা করেন। ভারতীয় দলের যে অ্যানালিস্ট তাঁর সঙ্গে বসে বিপক্ষের ব্যাটারদের দুর্বলতা নিয়ে আলোচনাও করেন রোহিত বলে জানান অশ্বিন। সব মিলিয়ে অজিবধের পর ভারতীয় শিবিরে সবার মুখে অন্যের প্রশংসা। সেই সুবাদেই জানা গেল ২২ গজের কিছু অজানা তথ্য।
For all the latest Sports News Click Here