ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা আটকাতে পারব না,পাত্তা না দিয়েই জবাব দিতে চাই: সোহম

শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে সোহম-মধুমিতা জুটির ‘দিলখুশ’। আদ্যোপান্ত প্রেমের ছবি এটি। ‘দিলখুশ’এর মুক্তি শেষেই আমাজন অরিজিন্যালসের সিরিজের কাজে মুম্বই উ়ড়ে গিয়েছেন কবীর সিং-এর বন্ধু। টলিউড আর বলিউড—দুই ইন্ডাস্ট্রিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন সোহম মজুমদার (Sohom Majumder)। কেরিয়ার থেকে প্রেম —হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে ‘দিলখুশ’ আড্ডায় ধরা দিলেন নায়ক।

‘দিলখুশ নিয়ে কেমন রেসপন্স পাচ্ছো’?

সোহম: ছবিটা নিয়ে খুব পসিটিভ রেসপন্স পাচ্ছি। হয়তো সবাই এই কথাটাই বলে, তবুও মন থেকে বলছি আমি সত্যিই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। আসলে ছবিটায় খুব পজিটিভ ভাইব রয়েছে। তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে অভিজ্ঞতার একটা মিশেল রয়েছে ছবিতে, সেটাই ‘দিলখুশ’-এর ইউএসপি।

‘দিলখুশ’-এর ঋষি কুণ্ডু (সোহম অভিনীত চরিত্র)-কে নিয়ে কী বলবে?

সোহম: বাড়ি থেকে বেরিয়ে যে কোনও ছেলে আপনার চোখে পড়বে, যে পাড়ার ঠেকে বসে… বেকার- তেমনই একটা চরিত্র ঋষি কুণ্ডু। যাকে দেখে মনে হয় বেকার হলেও এর একটা লাইফের জার্নি রয়েছে। যে ভালোবাসে, আবার ভালোবাসতে ভয়ও পায়।

মধুমিতার সঙ্গে প্রথমবার জুটিতে, কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

সোহম: অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা। সত্যি বলতে মধুমিতা একটা পাগল মেয়ে। আর পাগলামি করে ও ভালো কাজ করতে চায়। ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের দুজনেরই কোনও গডফাদার নেই। কাজ করেই দুজন’কে খেতে হবে, সেটা আমাদের মিল। আমরা শ্যুটিংয়ের সময় পরস্পরের প্রতি খুব কম্পিটিটিভ ছিলাম। প্রতিটা সিন কী করে আরও সুন্দর করে তুলব সেই নিয়ে আমরা সবসময় আলোচনা করেছি। আর ও ভালো অভিনেত্রী সেই নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলবার নেই।

<p>নজরকাড়া সোহম-মধুমিতার রসায়ন</p>

নজরকাড়া সোহম-মধুমিতার রসায়ন

কবীর সিং-এ অভিনয়ের পর টলিউডে কি বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে সোহম মজুমদার?

সোহম: (হাসি) দেখুন, আমি কিন্তু দুটো জায়গা ব্যালেন্স করে চলার চেষ্টা করছি। কবীর সিং-এর পরেও বলিউডে আমি ধামাকা’র মতো ছবি করেছি রাম মাধবানির মতো একটা পরিচালকের সঙ্গে। আরও প্রচুর ছবি আমি বলিউডে করেছি, যা এই বছর রিলিজ করবে। আর টলিউড এখন আমার ট্যালেন্ট কতটা বুঝতে পেরেছে সেটা তো আমি বলতে পারব না, তবে এটা বলব এখন (কবীর সিং-এ অভিনয়ের পর) আমি সবার নজরে চলে এসেছি। মার্কেটে কোনও জিনিস কিনতে গেলে তোমাকে জিনিসটা আগে চোখে দেখতে হবে তো। হয়ত কবীর সিংটা কোথাউ গিয়ে আমাকে চিনিয়ে দিয়েছে, যেখান থেকে সবাই আমার কাছে পৌঁছাতে পারছে।

বলিউড আর টলিউড- দুটো ইন্ডাস্ট্রিতে একসঙ্গে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন, কী ভাবে পুরোটা ব্যালেন্স আউট হচ্ছে?

সোহম: প্রচুর প্লেনের টিকিট কাটতে হচ্ছে, সবার আগে এটাই বলব (হাসি)। প্রস্তুতি আলাদাভাবে কিছু নিই না, শুধু ভাষাটা আলাদা। প্রত্যেকটা চরিত্রের জন্য আমি সমান খাটি, বাংলা ছবি হোক বা বলিউড- আমার কাছে ফারাক নেই। আমাদের এই পেশাটা একটা খেলার মতো। আমি চেষ্টা করি, এই খেলাটা যেন আমি ভালো করে খেলতে পারি।

বাজেট ব্যতিরেকে টলিউড আর বলিউডের কী ফারাক রয়েছে?

সোহম: বেসিক অ্য়ামাউন্ট অফ লাক্সারির একটা পার্থক্য আছে। তবে সেটা নিয়ে আমি ভাবি না। আসলে ছোট থেকেই টাকা-পয়সা ব্যাপারটাকে আমি গুরুত্ব দিই না। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেওয়ার। হিন্দি ফিল্মের মার্কেট বড়, তাই ওদের বাজেটও বড়। তবে টলিউডও নিজের জায়গায় ভালো ফল করছে। ক্রিসমাসে মুক্তি পাওয়া তিনটে ছবিই ভালো ফল করেছে। গত বছর কিন্তু বাংলা ইন্ডাস্ট্রি থেকে অনেক সফল ছবি এসেছে। এই ধারাটা আগামী ১০ বছর ধরে রাখতে পারলে কিন্তু বাংলা ইন্ডাস্ট্রি অনেকটা এগিয়ে যাবে।

প্রেম নিয়ে ছবি ‘দিলখুশ’, সোহমের কাছে প্রেম মানে কী?

সোহম: আমার কাছে প্রেম মানেই ভরসা, প্রেম মানে পাশে থাকা। তাছাড়া প্রেম মানে খাওয়া-দাওয়া, রসোগোল্লা- এগুলোও প্রেম আমার কাছে। আমি চাইব সরস্বতী পুজোয় সবাই যেন নিজের ‘সজনী’র হাত ধরে প্রেক্ষাগৃহে ‘দিলখুশ’ দেখতে যায়, নিঃসন্দেহে দিল খুশ হয়ে যাবে।

আপনার জীবনে প্রথম প্রেমে কবে এসেছিল?

সোহম: উম…. সত্যিকারের আমি প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম ২০১১ সালে, কলেজ ফার্স্ট ইয়ার। তার আগে সম্পর্ক ছিল না তা নয়। কিন্তু আমার মনে হয় না, আমি সেভাবে ভালোবেসেছিলাম। কিন্তু হ্যাঁ, ইনোসেন্সটা ছিল। তবে প্রথম ভালোবাসা বলতে কলেজ ফার্স্ট ইয়ার।

সোহমের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এখন মিডিয়ায় হামেশা আলোচনা হচ্ছে। সেটাকে আপনি কীভাবে দেখেন?

সোহম: আমি একেবারেই গুরুত্ব দিই না সেই সব নিউজ আর্টিকেল। আমি যদি সেগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু করি, তাহলে আমি যদি পরবর্তীকালে কারুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়াই সেটা তাঁকে এফেক্ট করবে। সেটা আমার জীবন সম্পর্কিত হবে শুধু সেই মানুষটার জীবন সম্পর্কিত হয়ে পড়বে। আমি জানি, আমি একজন পাবলিক ফিগার, তাই আমি এগুলো আটকাতে পারব না। মানুষের আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতুহল থাকবেই। সেটা নিয়ে আমি বেশি কথা বলতে পারব না, তবে আমি এই ব্যাপারগুলো নিয়ে পাত্তা না দিতেই জবাব দিতে চাই।

ব্যক্তিগত জীবনে পরবর্তী ধাপ নিয়ে সোহম কী ভাবছে? বিয়ের প্ল্যানিং… (প্রশ্ন শেষের আগেই)

সোহম: ওরে বাবা রে! দূর দূর পর্যন্ত কোনও ভাবনা নেই! আপতত আমি জীবনটাকে ভালোবাসছি, জীবনটা ভালো লাগছে। শুধু কাজ নয়, বাকি সবকিছু হচ্ছে। কিন্তু বিয়ে নিয়ে ভাবছি না। আমার ডিকশেনারিতে আপতত দূর দূর পর্যন্ত বিয়ের ভাবনা নেই। এমনি আমার পরিবার খুব লিবারেল, এইসব ব্যাপারে কিছু বলে না। অথবা এটাও হতে পারে আমাকে নিয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে।

 

 

 

 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.