বেশি করে বাংলাদেশকে খেলতে হবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, দাওয়াই কোচ ডমিঙ্গোর
শুভব্রত মুখার্জি: সাম্প্রতিককালে তিন ফর্ম্যাটের ক্রিকেটের মধ্যে সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে খুব অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটিয়েছে বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে ওয়ানডে ফর্ম্যাটে টাইগারদের সাম্প্রতিক অতীতের পারফরম্যান্স অত্যন্ত ভালো। তাদের পরিসংখ্যান সেই কথাই বলছে। বিদেশের মাটিতে শেষ তিনটি ওয়ানডে সিরিজের তিনটিতেই জিতেছেন টাইগাররা। বলা বাহুল্য শেষ ৭টি সিরিজের ৬টিতেই জিতেছেন তারা। তবে ওয়ানডেতে অভূতপূর্ব সাফল্য এলেও টেস্টের আঙিনায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেইরকম উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি। তাদের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য এর উপায়ও বাতলে দিয়েছেন। তার মতে আরও বেশি করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হবে টাইগারদের। তাহলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
সাম্প্রতিককালে লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ হতাশজনক। পরপর টেস্টে ব্যর্থতা গ্রাস করেছে দলকে। যার কারণ খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশের বর্তমান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তার মতে যত বেশি করে সিনিয়র দলের ক্রিকেটাররা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবেন তত তাদের সামনে সুযোগ আসবে সাফল্য পাওয়ার।
সম্প্রতি টাইগাররা তাদের টেস্ট অধিনায়কত্বেও বদল ঘটিয়েছে। তবে দেশের সেরা অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসানকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিলেও বদলায়নি সার্বিক চিত্র। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগাররা ০-২ ব্যবধানে হেরেছে টেস্ট সিরিজ। তার আগে ঘরের মাঠে হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছেও। শাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের পরেই সতীর্থদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। এবার সেই সমস্যাকেই তুলে ধরেছেন ডমিঙ্গো।
প্রথম শ্রেণির ম্যাচের সংখ্যা না বাড়ালে, সিনিয়র ক্রিকেটাররা বেশি করে ম্যাচ না টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়া কঠিন। তিনি জানিয়েছেন ‘বাংলাদেশ কোন ধরনের ক্রিকেট বেশি খেলবে সেটা ঠিক করার দায়িত্ব আমার না। যদিও ছেলেদের চার দিনের ম্যাচ খেলার সংখ্যা আমাকে বেশ উদ্বেগে রেখেছে। বছরে খুব বেশি হলে চার-পাঁচটা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ হয় বাংলাদেশে। যেমন টেস্ট দলে নেওয়া হয়েছে আনামুল হক বিজয়কে। অথচ ও এক বছরের বেশি সময় লাল বলের ক্রিকেটে খেলেইনি। এভাবে টেস্টে সফল হওয়া কঠিন।’
ডোমিঙ্গো আরও যোগ করেছেন ‘সমস্যাটা ব্যাটারদের মানের নয়। সমস্যাটা ম্যাচের সংখ্যাতে। আমার মতে ছেলেদের আরও বেশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা উচিত। বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাঠানোটা ভালো সিদ্ধান্ত। দেশেও চার দিনের ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার যথেষ্ট সুযোগ পান না।’
For all the latest Sports News Click Here